বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে মাঠে নেমেছে। পুলিশের এক এএসআইসহ তিনজন আহত হওয়ার এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে শক্তিশালী। ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল। জনমনে ভীতি ছড়াতে এবং নৈরাজ্য ও অরাজকতা তৈরির জন্য কোনো একটি গোষ্ঠী এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার রাতেই অজ্ঞাতদের আসামি করে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে তদন্ত শুরু করলেও গতকাল পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তার পাশেই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কার্যালয়। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা যৌথ বৈঠক করলেও রহস্য উদঘাটন বা জড়িতদের গ্রেফতারে উল্লেখ্য যোগ্য কোন অগ্রগতি নেই। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই সময় ওই ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছিল আইএস। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইএস-এর পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে জঙ্গি তৎপরতা বিষয়ক খবরের মুনাফাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স। প্রত্যক্ষদর্শী পলওয়েল জি ফিলিং স্টেশনের ডেলিভারি ম্যান মো. রাশেদ শেখ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা সবাই ফিলিং স্টেশনে বসে ছিলাম। রাত পৌনে ৯টার দিকে বিকট একটি শব্দ হয় এবং সামনেই তাকিয়ে দেখি পুলিশে একটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। গুলিস্তানে কারা হামলা চালিয়েছিল, সে রহস্য এখনো উন্মোচন করা যায়নি। মালিবাগের ঘটনা কীভাবে বা কারা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়াকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে শক্তিশালী। ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি গাড়িতে পেতে রাখা হয়েছিল। জনমনে ভীতি ছড়াতে এবং নৈরাজ্য ও অরাজকতা তৈরির জন্য কোনো একটি গোষ্ঠী এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।