বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোন ক্রমেই অপরাধের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না গাজীপুর জেলা পুলিশের । একাধিক
বিভিন্ন বিতর্কিত
অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার কারণে আবারো প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য । সেই সাথে ভাবিয়ে তুলেছে জেলার সচেতন মহলকে।
গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন নাহার যোগদান করেই সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় বলেছিলেন, পুলিশ কর্তৃক নিরপরাধ জনগণ হয়রানি হলে সেই পুলিশের পোশাক খুলে নেয়া হবে। তার কথা তিনি রেখেছেন। এরই মধ্যে তিনি অপরাধে জড়িত একাধিক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছেন। তার পরেও পুলিশের অপরাধের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ করেছেন পুলিশ কর্তৃক হয়রানিকৃত ব্যওিরা। ওই অভিযোগ সুএে পাওয়া তথ্যানুযায়ী জানা গেছে,
গাজীপুর জেলার কালিগঞ থানাধীন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ এস আই গোলাম মওলার এক ব্যওিকে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে ৬৮ হাজার টাকা আদায় করে।
এ ব্যাপারে ভুওভোগি ব্যক্তি পৃবাইলের বিন্দান এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবরে বিস্তারিত উল্লেখ করে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন।
পুলিশ সুপার বরাবরে দেয়া আবেদন পএে তিনি উল্লেখ করেছেন, যে কালিগঞ থানাধীন উলুখোলা বাজার থেকে তিনি বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের এস আই গোলাম মওলা তাকে গ্রেফতার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁড়িতে নিয়ে তাকে জানানো হয় যে সে কালিগঞ থানায় দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলার আসামী। এর পর রিয়াজুলকে রিমান্ডের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোলাম মওলা। রিয়াজুলের পিতা ইউনুস পুলিশের দাবীকৃত টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। এর কিছু দিন পর মামলা থেকে বাদ দেয়ার কথা বলে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ওই ফাঁড়ির কনস্টবল শাকিল তাকে ধরে পুনরায় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এখান থেকে রিয়াজুলের চাচা আতাউর ১৮ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন। এ ব্যাপারে গাজীপুরের পুলিশ
সুপার শামসুন নাহার জাহার জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শতে পুলিশের একটি সূএ জানায়, ২০১৬ সালে উল্লেখিত পুলিশের এই এস আই এর বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় এক নারী পুলিশ কনস্টবল যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে তাকে টঙ্গী থানা থেকে কালিগঞ থানায় বদলি করা হয়। এর পর কালিগঞ থানা থেকে তাকে উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ হিসেবে বদলি করা হয়
পুলিশ সুপার বরাবর দেয়া অভিযোগ প্রসঙে উলুখোলা পুলিশ ফাড়ির ইনচাজ এস আই গোলাম মওলা বলেন তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরো বলেন জাকির নামে এক ডাকাতের প্ররোচনায় আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাসানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তিনি উধবতন কম’ কতাদের জানিয়েছেন।
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানায় আসরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়িকে ধরে এনে ২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় ৩ পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। ক্লোজকৃতরা হলো এস আই খোরশেদ আলম,পি এস আই শামসুদোহা,ও পুলিশ কনস্টবল নুর আলম।
এই ঘটনায় ওই থানার ওসি অপারেশন মনিরুজজামান ও এস আই এনায়েত হোসেনকে মৌখিকভাবে শতক করা হয়। জয়দেবপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান,পুলিশ সুপারের নিদেশে তাদেরকে ক্লোজ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এস আই মোস্তফিজুর রহমান তার সঙ্গীয় ফোস নিয়ে ৭ জুয়াড়িকে আটক করে গত বুধবার রাতে।
এর পর শাজাহান ও মাইন উদ্দিন নামে ২ জনের নিকট থেকে ৩ লাখ নিয়ে মাদক মামলা থেকে বাদ দেয় এবং অপর ৫ জনকে মাদক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করেন। ২ জনের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে মাদক মামলা থেকে বাদ দেয়ার ঘটনাটি ফাস হয়ে পড়লে পুলিশ প্রশাসন সহ সবএ ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, ৫ জনকে জুয়া ও মাদক সেবন আইনে মামলা দেয়া হয়েছে ।
তবে ২ জনের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের প্রমান না পাওয়া মাদক মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।