পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাঈদুর রহমানের আদালতে মামলটি করেন সুজন শেখ নামে ওই ব্যবসায়ী। সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। মামলার আসামিরা হল- দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকন বেপারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রæয়ারি দুপুর ৩টার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন। মাঝপথে মাদারীপুরের শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকায় আসলে সুজন মোটরসাইকেল থামিয়ে রাস্তার পাশের একটি দোকানে চা পান করছিল। এসময় সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবি করে। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় মাহাবুব ও সোহাগ। পরে সুজনের সাথে থাকা বিকাশের টাকা পাশের টোকান বেপারীর দোকানে গিয়ে মোবাইল থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে সুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ কোন পরামর্শ না দিয়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে সুজন শেখ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাঈদুর রহমানের আদালতে মামলটি করেন। মামলাটির শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী তারিখের জন্য দিনধার্য রেখেছেন।
মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, কোন কারণ ছাড়াই মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমাণ আদালতে মামলার নথির সাথে দেয়া হয়েছে। মূলত তারা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে এই টাকা নিয়েছে।
শিবচরের দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ওই ব্যবসায়ীর সাথে আমাদের তদন্ত কেন্দ্রের দুই পুলিশ সদস্যের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এর কারণেই ব্যবসায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছে। বড় অফিসাররা রয়েছেন তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, কোন পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নিবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।