পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে শিশু, নারী ও প্রতিবন্ধীরা ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে সরকারি ও বিরোধীদলীয় এমপিরা এক জোট হয়ে বলেছেন, এই পৃথিবীতে তাদের (ধর্ষক) থাকার কোনো অধিকার নেই। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাদের ক্রসফায়ারে দিলে কোনো পাপ হবে না বরং বেহেশতে যাওয়া যাবে।
গতকাল জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা। এর আগেও একাধিকবার এ দাবি জানানো হয়েছে সংসদ থেকে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রথমেই আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।
ধর্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুজিবুল হক চুন্নু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার মন্ত্রণালয় এত ক্রসফায়ার দিচ্ছে, বন্দুকযুদ্ধে মানুষ মারা যায়, ধর্ষণের মত একটি জঘন্য অপরাধে আজও একজন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেল না! এ বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। ক্রসফায়ার ছাড়া কোনোক্রমেই এটি বন্ধ করা যাবে না। ধর্ষণে দায়ী ব্যক্তিদের সাজার বিষয়টি পত্রিকায় ভালোভাবে ছাপানোর দাবি জানান তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, স¤প্রতি ধর্ষণ মহামারী রূপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী, শিশু, নারী, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। অর্থাৎ কেউ এদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। স¤প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হোন, সেই ধর্ষণের কোন ক্লু ছিল না কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীকে ধরতে পেরেছে। এজন্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এসব ঘটনা ঘটছে এর কোনো সাক্ষী নেই। তাহলে এর কি বিচার করবেন? পুলিশ তাদের ধরবে। কিন্তু কোন সাক্ষী থাকবেন না। আমাদের এই সংসদ সার্বভৌম। আমাদের এই সংসদ স্বাধীন। আমাদের বলতে বাধা নেই কিন্তু কিছু মানবাধিকার সংগঠন বলে আইনের শাসন দরকার। কিন্তু এই ধর্ষকদের বিচার আপনারা কি আইনে করবেন?
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে একবার বাসে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখানে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়। তারপর ভারতে ধর্ষণের ঘটনা কমে যায়। আমাদের নাতি-নাতনি আছে। যাদের নিয়ে আমরা প্রতিদিন চলি। এটা হতে পারে না। প্রথমত, এখানে আইনমন্ত্রী আছেন। তিনি এ বিষয়ে কঠোর আইন করবেন। আর দ্বিতীয়ত, যারা এ কাজ করেছেন তাদের এই পৃথিবীতে থাকার কোনো অধিকার নেই। এজন্য আমি চুন্নুর প্রস্তাবকে সমর্থন করি।
এরপর মুজিবুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, আমি টুপি মাথায় দিয়ে আল্লাহকে হাজির-নাজির করে বলছি এদের ক্রসফায়ারে দিলে কোন পাপ হবে না বরং বেহেশতে যাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।