পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনদুপুরে বাসায় হানা, লুটপাট, ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক খুনি একজন এবং পূর্বপরিচিত : পুলিশ
বন্দরনগরীর বনেদি সওদাগরীপাড়া খাতুনগঞ্জের কোরাবানীগঞ্জে দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তার পুত্রসহ দুইজন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিষ্ঠুর এবং লোমহর্ষক এ খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকসানা বেগম মণি (৪৫) গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এম এ কাশেম ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল কাশেমের স্ত্রী। আহত তাদের ছোট ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল আজিজ (২০) ও প্রতিবেশী আবদুস সোবহানকে (৬০) চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজিজের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনায় হতবিহŸল গৃহকর্তা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম। কারা এ হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারেন নি তিনি। তবে খুনি যেই হোক তাকে পাকড়াও করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। হত্যাকাÐের পর বাসাটিতে থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দা, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
কোরবানীগঞ্জের পাঁচতলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের বাসা। বাসায় দুই ভাই ও বাবা-মা থাকতেন বলে জানিয়েছেন নিহত রোকসানার বড় ছেলে মো.তারেক। প্রতিদিনের মতো বাবার সাথে খাতুনগঞ্জের অফিসে চলে যান তারেক। বাসায় ছিলেন মা ও ছোট ভাই আবদুল আজিজ। কাজের বুয়া ইয়াসমিন বেলা ১১টায় এসে কাজ শেষে ১২টায় ফিরে যান। বেলা ২টায় বাসায় ডাকাতির খবর পেয়ে বাবার সাথে বাসায় ফিরে আসেন তারেক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা ইনকিলাবকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব পরিচিত ব্যক্তির হাতেই খুন হয় এ গৃহবধূ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিকে খুবই উত্তেজিত এবং বেপরোয়া মনে হচ্ছিল। নিহত রোকসানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান নোবেল। মাকে খুন ও ছেলেকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে এক প্রতিবেশীও আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসার কাজের বুয়া ইয়াসমিন জানান, সকাল সোয়া ১১টায় বাসায় কাজ করতে আসে সে। কাজ শেষে ওপরের তলার (পঞ্চম তলা) বাসায় যাওয়ার সময় রোকসানার কাছে বেতনের টাকা চান। তিনি তখন ব্যস্ত থাকায় পাঁচতলায় কাজ শেষে টাকা নিয়ে যেতে বলেন। যথারীতি কাজ শেষ করে এ বাসায় ঢুকতেই কালো গেঞ্জি ও প্যান্ট পরা এক লোক রক্তমাখা ছুরি হাতে তাকে ধরে ফেলেন। এ সময় ইয়াসমিন ভয় পেয়ে যায় এবং কাজের বুয়া পরিচয় দিয়ে তাকে না মারতে তার পা ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করলে ওই লোক তাকে ধরে ফেলে। এ সময় লোকটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গালিগালাজ করছিল।
ওই ভবনের অপর ভাড়াটে অ্যাডভোকেট এমদাদের স্ত্রী শাহনাজ হোসেন বলেন, মেয়েকে নিচে পাঠিয়ে আমি দরজায় দাঁড়ানো ছিলাম। এ সময় উপরের তলা থেকে প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি পরা লোকটি নেমে আমাকে জিজ্ঞাসা করে ‘কাশেম ভাইর বাসা কোনটা?’ আমি ইশারায় বাসাটি দেখিয়ে দিলে লোকটি দরজার কড়া নাড়ায়। এ সময় ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়া হয় এবং নিহত রোকসানা ‘ম অনে (মামা আপনি) এতদিন পরে’ বলতে শুনেছি। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল আজিজের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে ১০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।