Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্যারোলে বেগম জিয়ার মুক্তির প্রশ্ন : সরকার বা বিএনপি কোনো পক্ষেরই কনফার্মেশন নাই

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

যা ঘটবার ছিল তাই ঘটছে। মোকাব্বির খান সংসদে জয়েন করেছেন। এর আগে সুলতান মনসুর জয়েন করেছেন। এই দুই জনের জয়েন করাটাই যদি শেষ হতো তাহলেও একটি কথা ছিল। কিন্তু আশঙ্কা হয় যে, অবশিষ্ট ৬ জনও যদি ঐ দুই জনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তাহলে ঐক্যফ্রন্ট বলুন আর বিএনপি বলুন, তাদের রাজনীতি কি আর থাকবে? মনসুর ও মোকাব্বিরের ডিগবাজিতে মানুষ অবাক হয়নি। কারণ মনসুর তো সব সময়ই হার্ডকোর আওয়ামী লীগার। ঐক্যফ্রন্টে এসেও তিনি মুজিব কোট ছাড়েননি। জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধুর স্লোগানও ছাড়েননি। আর মোকাব্বির তো চাঞ্চ এমপি। সেখানে তো প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী রুনার। ভাগ্যের ফের, তার নমিনেশন বাতিল হলো। আর লন্ডন থেকে উড়ে এলেন মোকাব্বির খান। এদের তো কোনো পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট নাই।
কিন্তু বাকি ৬ জনের কী হবে? এরাতো সবই বিএনপির ডিস্ট্রিক লিডার। এদেরই একজন হলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সেন্ট্রাল জেনারেল সেক্রেটারি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরকার ঠাকুরগাঁয়ে জিততে দেয়নি। কিন্তু বগুড়ার ঐ সিটটি ছেড়ে দিলো। কেনো দিলো, সেটি নিয়ে অনেক কানাঘুষা আছে।
পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যে, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ঐ ৬ জন নির্বাচিত এমপিকে বিএনপি যদি সংসদে পাঠাতে রাজি হয় তাহলে বিনিময়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেবে। মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি লন্ডন চলে যাবেন। তবে শর্ত থাকবে যে, দেশের বাইরে গিয়ে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না।
কে বা কারা বেগম জিয়াকে প্যারোলে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এক শ্রেণির পত্রপত্রিকায় এই খবরটি বেরিয়ে এসেছিল যে, বিএনপির ঐ ৬ জন সংসদ সদস্য যদি সংসদে যোগ দেন তাহলে বিনিময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হবে। অথবা কারাগার থেকে বের করে দেশের মধ্যেই তাকে অন্য কোনো ভবনে থাকতে দেওয়া হবে। তবে একটি শর্ত থাকবে এই যে, কারাগারের বাইরে থাকলেও তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না।
দেশের দুই একটি সংবাদপত্রে প্যারোলে বেগম জিয়ার শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির খবর প্রচারিত হলে বিএনপির এক শ্রেণির নেতা ও কর্মীর মধ্যে তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সুপ্রিমকোর্ট বারের প্রাক্তন সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন। বারের বর্তমান মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার কোনো আবেদন করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারোলে মুক্তি দিতে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি শুধু গণমাধ্যমেই আমরা জেনেছি। খোকন বলেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে এটা একটা কৌশল হতে পারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চায়। প্যারোলে মুক্তি চায় না। বেগম খালেদা জিয়া নিজেও শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত হতে চান না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেলে তো সেটা শর্ত সাপেক্ষে হয়ে যাবে। কিন্তু এমনটা বিএনপি এবং বেগম জিয়া চান না। বিএনপি যদি প্যারোলে মুক্তি না চায় তাহলে কীভাবে তিনি প্যারোলে মুক্ত হতে চলেছেন এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিএনপি শপথ গ্রহণ করবে না বলে এখন পর্যন্ত অনড় অবস্থানেই আছে। কেননা বিএনপি এই নির্বাচনকে মানে না। বিএনপি মনে করে, এই নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পায়নি। তাই বিএনপি পুনরায় নির্বাচন চায়।
দুই
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অবৈধ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্ত করতে চাই না। এমনকি বেগম জিয়া নিজেই সমঝোতার মাধ্যমে প্যারোলে মুক্তি পেতে চান না। তিনি আইনগতভাবে মুক্তি পেতে চান। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাচ্ছি না।
প্যারোলে মুক্তির কথা আসলে সরকারের প্রোপাগান্ডার একটি অংশ। সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার বৈধতা পেতে নানা কৌশলে বিএনপিকে সংসদে নিতে চাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি এই অবৈধ সংসদে অংশগ্রহণ করবে না। সেকারণেই সরকার বলছে, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটা আমাদের দাবি নয়, আমরা এটা চাই না। মিথ্যা মামলায় আবার প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইবো কেন? আইনগতভাবে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।
বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সমঝোতা চান না। তিনি সমঝোতা করবেন না। প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া আজীবন জেলে থাকবেন, কিন্তু সমঝোতা করে সরকারের কাছে মাথানত করবেন না। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো চেষ্টা করছে না। এটা সরকারের গুজব, সরকার গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা কী খালেদা জিয়ার মুক্তি ভিক্ষা চাই? খালেদা জিয়া আইনের মাধ্যমে মুক্তি পাবেন। মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি চান না। মিথ্যা মামলায় আবার প্যারোলে কীসের মুক্তি? আদালতে এই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত করে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। সেই চেষ্টাই করছি। সংসদে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বদলে বিএনপি এই ভোটারবিহীন সংসদে শপথ গ্রহণ করবে না। সরকার পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তির বদলে বিএনপি সংসদে যাবে। কিন্তু সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই-বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি কোনোদিনও সরকারের সঙ্গে আলোচনা বা সমঝোতা করবে না। বেগম জিয়া নিজেও এটা চান না।
এদিকে ৩ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরের খবরে বলা হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে চলছে নানা তৎপরতা। এ নিয়ে পর্দার আড়ালে সরকার ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলেই বিষয়টি যত দ্রুত চূড়ান্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
যদিও এ ব্যাপারে দু’পক্ষের কেউ নাম প্রকাশ করে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। মুক্তি পেলে সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নিতে পারেন খালেদা জিয়া। এর আগেও কয়েক দফা দেশ দুটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন। তার সাথে গ্রেফতার হন আরও অন্তত ৩৪ জন। পরে শেখ মুজিবকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে স্থানান্তর করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থান শুরু হলে সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সমস্ত রাজনৈতিক দলের বৈঠক ডাকেন। আওয়ামী লীগের প্রধান হিসাবে শেখ মুজিবকেও সেই মিটিংয়ে ডাকা হয়। কিন্তু শেখ মুজিব ছিলেন রাজবন্দি। তাই তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে মিটিংয়ে ডাকা হয়। কিন্তু তখন আন্দোলনরত ছাত্র ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে শেখ মুজিবের সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্যারোলে শেখ মুজিবের মুক্তির সর্বাত্মক বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তার স্বামীকে যদি বৈঠকে যোগ দিতে হয় তাহলে তিনি প্যারোলে মুক্ত হয়ে যাবেন না, সম্পূর্ণভাবে একজন মুক্ত মানব হিসাবে বৈঠকে যাবেন। আন্দোলনের তোড়ে জেনারেল আইয়ূব খান শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। এভাবে প্যারোল ছাড়াই শেখ মুজিব মুক্ত মানব হিসেবে বৈঠকে যোগদান করেন।
যতদূর জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার বেগম জিয়ার ব্যাপারেও ঐ প্যারোলকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। পত্র পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার বলছে যে, যদি বিএনপির নির্বাচিত ৬ জন এমপি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ গ্রহণ করেন তাহলে উন্নত চিকিৎসার, জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। বলা বাহুল্য, এসবই সংবাদপত্রের জল্পনা-কল্পনা। বেগম জিয়ার প্যারোল সম্পর্কে অফিসিয়ালি সরকার বা বিএনপির তরফ থেকে এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। তবে সবকিছু স্পষ্ট হতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে।
একশ্রেণির মিডিয়ার রিপোর্ট মতে, আইনি প্রক্রিয়ায় চেয়ারপারসনের মুক্তি আরও বিলম্ব হতে পারে। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আইনি প্রক্রিয়ায় কিংবা রাজপথের কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলে চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা কঠিন। তাই যে কোনো মূল্যে তারা বেগম জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসা চাচ্ছেন।
তিন
দৈনিক ‘যুগান্তর’ নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, সরকার এবং বিএনপির অভ্যন্তরে ভেতরে ভেতরে এক ধরনের ছাড় দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একদিকে খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি পাবেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন। অন্যদিকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। পত্রিকাটি মন্তব্য করে যে, কোনো কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও সক্রিয় নেই বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইভাবে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবেই কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার। সরকারের নির্বাহী আদেশে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো অথবা তার বাসভবনকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে তাকে রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। অপর একটি সরকারপন্থী পত্রিকা ‘বাংলদেশ প্রতিদিনে’ বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে সংসদে যেতে রাজনীতিতে পর্দার আড়ালে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে জোর আলোচনা। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিতই কথা বলছেন। এ ব্যাপারে আলোচনার অগ্রগতির অংশ হিসেবেই বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতেই বেগম জিয়ার ‘প্যারোলে মুক্তি’ নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। কয়েকজন মন্ত্রীও এ ব্যাপারে অবগত। প্রভাবশালী দুটি দেশও বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
এ দিকে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আলোচনার অগ্রগতি না হলে বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। জানা যায়, সংসদে যোগদানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বড় অংশই সংসদে যাওয়ার ঘোর বিরোধী। তাঁদের মতে, নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যানের পর সংসদে যোগ দিলে বিএনপির ‘রাজনীতি’ বলতে কিছু থাকে না। এতে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটবিহীন এ সরকারকে বৈধতা দেওয়া হবে। এ নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে বিএনপিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হবে।
বিএনপি সংসদে যাবে কি না জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপির সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যেসব আলোচনা হচ্ছে, এগুলো গণমাধ্যমের উড়ো খবর। ভোটবিহীন এ সংসদে বিএনপি যাবে না।’
এই পটভূমিতে দেশের সমস্ত শিক্ষিত সচেতন মহলের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ রয়েছে এপ্রিল মাসের ওপর। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ না নিলে বিএনপির ৬ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের সদস্য পদ খারিজ হয়ে যাবে। তারা যদি সংসদে না যায় তাহলে বেগম জিয়াকেও পিজি হাসপাতাল থেকে সরাসরি কেরানীগঞ্জ জেলখানায় যেতে হবে। এখন দেশবাসী অপেক্ষা করছে, কোন দিকে যান বেগম জিয়া- কেরানীগঞ্জ না লন্ডন।
[email protected]



 

Show all comments
  • Fakh Ruddin ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
    যদি মূক্তির ব্যপারে সরকার বিবেচনা করে তাহলে বিচার ভিবাগের দরকার কি ?
    Total Reply(0) Reply
  • Bashir Ahmed ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    খুবই সুন্দর একটা বিশ্লেষণ। তবে আমার প্রশ্ন তাহলে কি সরকারের হাতেই বিচার ব্যাবস্থা? তাদের কাছে প্যারোল চাইতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nuruddin Bkd ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    প্যারোলে মুক্তির প্রয়োজন নাই,,,?? নিঃশর্ত মুক্তি চাই,
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir Hussain Ali ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    তাহলে জনগণ এতদিন যা মনে করেছিল তা-ই সত্যি হলো। স্পষ্ট হয়ে গেল তথাকথিত সরকারের ইচ্ছাতেই খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Patwary Chandpur ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    Perole noy...Nishorto Mukti chai
    Total Reply(0) Reply
  • Rashedul Islam Mithu ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    তাহলেতো পরিষ্কার, সরকারের নির্দেশে বেগম জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।আদালতেই সরকার/সরকারেই আদালত।
    Total Reply(0) Reply
  • Solaiman Solaiman ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা বেগমজিয়ার সুস্থতা দান করুন, আমীন। আর আপনারা তৈরি হন তাহাদের মতো হওয়ার জন্য
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Faruyk ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    সম্ভবত খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন যার জন্য আওয়ামীলীগ নরম সুরে কথা বলছেন,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rafi ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ripon ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    আন্দোলনের প্রয়োজন নেই দু পক্ষ মিলে আলোচনা করে মিল মিশের মাধ্যমে সমাধান করা হোক্ ধন্যবাদ সবাইকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন