প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
![img_img-1719826126](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678194283_01-Daily-Inqilab.jpg)
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
নায়িকা এখনো বিয়েই করেননি। অথচ সন্তানকে সাগরে ফেলে দিতে চাইছেন। আসলে ব্যপারটা কি? সম্প্রতি কঙ্গনার ‘মনিকর্নিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ চলচ্চিত্রের সাফল্য উপলক্ষে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নায়িকা তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে কথা বলেন। বলিউডের এই প্রতিবাদী নায়িকা বলেন, নিজের সন্তান যদি বলিউডে আসতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করবো। এদিকে বলা রাখা ভালো আমি যদি সত্যিই আমার সন্তানের প্রতি যত্নশীল হই এবং আমি যদি সত্যিই একজন ভালো মা হই, তাহলে অবশ্যই আমি তাকে তার নিজের পথ খুঁজে নিতে সহযোগিতা করব।’
স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বলিউডে এখন খুবই সোচ্চার তিনি। এসব বিষয় নিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘তবে আমি যদি আমার সন্তানকে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে সাহায্য করি, তাহলে সেটা হবে তার দক্ষতাকে ব্যাহত করা। আমি যদি তাকে অসাধারণ হিসেবে দেখতে চাই, তাহলে তাকে সাগরে ফেলে দেব। হয় সে ডুবে যাবে অথবা সে সফল হবে।’
কীভাবে অসাধারণ হতে হয়? কঙ্গনা রনৌত তার ভাই অক্ষিত রনৌতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তার ভাই চার বছর ধরে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য সংগ্রাম করছেন। কঙ্গনার একটা ফোনকল তার ভাইয়ের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারে। কিন্তু তিনি সেটা করবেন না। বিষয়টি নিয়ে নায়িকা বললেন, ‘তাকে চাকরি দেওয়া আমার জন্য কোনো ব্যাপার না। কিন্তু একজন মানুষকে সংগ্রাম, প্রত্যাখ্যান, মরিয়া হওয়া বা ওই হতাশার ভেতর বড় হওয়া দেখতে আমি ভালোবাসি।’
কঙ্গনা রনৌত বলিউডের কয়েকজন জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের স্বজনপ্রীতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে বহিরাগত লোকজনের ক্ষোভ অনেক বছরের। কিন্তু কেউ সাহস করে মুখ খোলেন না। তবে স্টার ওয়ার্ল্ডের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কফি উইথ করণ’র সঞ্চালক চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহরকে সরাসরি ‘স্বজনপ্রীতির ধারক’ বলে অভিহিত করেন। এর পর ‘স্বজনপ্রীতি’ নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে মুখ খোলেন বলিউডের অনেক সেলিব্রিটি।
এই সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রনৌত সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এর আগে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান। এবার সেই প্রসঙ্গে কঙ্গনা রনৌত বলেন, ‘একজন নাগরিক কখনোই রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেন না।’ কঙ্গনা নিজেকে রাষ্ট্রের একজন ‘অগ্রগামী চেতনা’ মনে করেন। ভবিষ্যতে দেশের যেকোনো দুঃসময়ে সবাইকে স্বেচ্ছায় বা ইচ্ছা না থাকলেও দেশের হয়ে যুদ্ধ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।