নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা আকর্ষণ বিশ্বকাপ ক্রিকেট এলেই অস্ট্রেলিয়া যেন অন্য রকম একটি দলে পরিণত হয়। কয়েকদিন আগেও ক্রিকেট বিশ্লেষকরা দলটি নিয়ে খুব একটা আশাবাদি ছিলেন না। বিশেষ করে ঘরের মাটিতে ভারতের কাছে টেষ্ট, ওয়ানডে সিরিজ হারের পর এই দলটি নিয়ে অনেকেরই শঙ্কা ছিলো। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ক’দিন আগেই দিল্লিতে শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে শুধু প্রতিশোধ নিলোই না বরং আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন নিজেদের অবস্থান জানান দিলো। তারই ধারাবাহিকতায় আরব আমিরাতের গরমেও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে চলেছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটি।
নামের পাশে জ্বল জ্বল করেছে পাঁচ পাঁচটি শিরোপা। আর কোনো দল বিশ্বকাপের আসরে এত বেশি শিরোপা জিততে পারেনি। দলটির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় শুধু ১৯৮৩ সাল ও ঘরের মাঠে ১৯৯২ সালে তারা ব্যার্থ হয়েছে। এছাড়া সবক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের পাল্লাই ভারী। ১৯৮৬ সালের বেনসন এন্ড ওয়ার্ল্ড সিরিজে ঘরের মাঠে বাজে পারফরমেন্স তাদেরকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মত শিরোপা জেতে অষ্ট্রেলিয়া। কিন্তু এর পর দলটি আবার ছন্দ হারিয়ে ফেলে। তার উপর আবার এ্যালান বোর্ডার, ডেভিড বুন, ডিন জোন্সরা অবসর নিলে দলের ওয়ানডে পারফরমেন্স খারাপ হতে শুরু করে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপে আবার সবাইকে তাক লাগিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উত্তীর্ন হয়। যদিও শিরোপ জেতা সম্ভব হয়নি।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর পর দু ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ডে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার আশংকা সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে চমৎকার এক ম্যাচ জয়ে তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যায়। পরবর্তী ইতিহাস তো সবারই জানা। বলা যায় এই বিশ্বকাপ অনেকটা তারা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে শিরোপা যেতে। এরপর টানা ২০০৩, ২০০৭, আসরে তারা চ্যাম্পিয়ান হয়। ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তারা সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে আবার তারা শিরোপা পুনরোদ্ধার করে। এর পর আবার ওয়ানডে পারফরমেন্স খারাপের দিকে যায়। তাদের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার ও স্মিথ বল টেম্পিওরিংয়ের অভিযোগে সানপেনশনের কবলে পড়ে। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াই তাদের অনেক ম্যাচ খেলতে হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ ভারতের মাটিতে তাদের হারিয়ে দিয়ে এবং চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটিতে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে এই মুহূর্তে আবার চাঙ্গা।
অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাজারা যেরকম ফর্মে আছেন সেই সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথও প্রায় ফেরার দ্বারপ্রান্তে। শক্তি আর পারফরম্যান্সের বিচারে তাই বলা যায় আসন্ন ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আবার যে অজিদের গায়ে ফেভারিটের তকমা লাগাতে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।