নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৭’তে ডুবতে বসা নৌকার হালটা তখনই শক্ত হাতে ধরলেন মার্কাস স্টয়নিস। মহাকাব্যিক ১৪৬ রানের ইনিংসে চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সুবাসই এনে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু অকল্যান্ডে ৬ রানে হেরে যায় অজিরা। এমন আরও ৬ ম্যাচে স্টয়নিস ৫০ রানের বেশি করলেই ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। স্টয়নিস কিংবা অস্ট্রেলিয়ার এমন বাজে গল্পের খাতায় গতপরশু সপ্তম অধ্যায় হিসেবে যোগ হলো স্টয়নিসের ৫২ রানের ইনিংস ও অস্ট্রেলিয়ার ৮ রানের হার।
নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে ২৯ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। হাতে ছিল ৪ উইকেটে। নাথান কুল্টার-নাইলকে নিয়ে ব্যাট করছিলেন স্টয়নিস। জাসপ্রীত বুমরার করা পরের ওভারে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ার পথে নেমে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এই ওভারে ১ রান খরচায় কুল্টার-নাইল ও প্যাট কামিন্সকে তুলে নেন ভারতের ‘ডেথ ওভার’ বিশেষজ্ঞ পেসার। ২৪ বলে ২৮ রানের দূরত্বে পিছিয়ে পড়ে সফরকারি দল। স্টয়নিসের সঙ্গে উইকেটে তখন স্পিনার নাথান লায়ন। সাদামাটা স্কোরের ম্যাচে নেমে আসে টান টান উত্তেজনা। কে জিতবে, ভারত না অস্ট্রেলিয়া? মার্কাস স্টয়নিস ৫২ রান করলেও পারেননি দলকে জয় এনে দিতে। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২৪২ রানে। ভারত জিতেছে ৮ রানে।
মার্কাস স্টয়নিসের এই বাজে গল্পের অধ্যায় শুরু হয় ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। অকল্যান্ডে কিউইদের ২৮৬ রান টপকাতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও দলকে স্বস্তিতে ফেরান মার্কাস স্টয়নিস। স্টয়নিসের ১১৭ বলে ১৪৬ রানের ইনিংসের পরও জয় পায়নি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৬ রানে। ১১৭ বলে ১৪৬ রানের রাজসিক ইনিংস খেলা মার্কাস স্টয়নিস হেরেও ম্যাচের নায়ক।
২০১৭’এর সেপ্টেম্বরে কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের দেওয়া ২৫৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ৫৯ ও ট্রাভিস হেড ৩৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারও দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস। ৬৫ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে স্টয়নিস ছিলেন অপরাজিত। ৪১ বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হারে ৫০ রানে। স্টয়নিস এই ম্যাচেও অপরাজিত থেকে প্যাভিলিয়নে ফিরেন, কিন্তু জিতেনি তার দল।
২০১৮ এর জানুয়ারিতে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ফিঞ্চের সেঞ্চুরির পর মিচেল মার্শ তুলে নেন ফিফটি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সব স্ট্রোক ছুটিয়ে মাত্র ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মার্কাস স্টয়নিস। অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ পায় ৩০৪ রানের। বড় সংগ্রহের পরও অস্ট্রেলিয়া হেরে বসে ৫ উইকেটে।
সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩০৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ফিঞ্চ ৬২, স্মিথ ৪৫, মার্শের ৫৫ রানের ইনিংসের পর মার্কাস স্টয়নিস ৫৬ রানের ইনিংস উপহার দেন দলকে। তার পরও ইংল্যান্ডের কাছে ১৬ রানে হেরে যায় দলটি। পার্থে একই সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড ২৬০ রানের টার্গেট দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। জবাবে ব্যাট হাতে অজিদের হয়ে জ্বলে উঠেন মার্কাস স্টয়নিস। ৬ চার ও ৪ ছয়ে স্টয়নিস ৮৭ রানের ইনিংস খেললেও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জয়ের হাসি হাসতে পারেনি। ইংলিশদের কাছে ১২ রানে পরাজিত হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে ৩২০ রানের সংগ্রহ জমা করে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ২৮০ রান। এই ম্যাচেও ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্কাস স্টয়নিস। অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ৪০ রানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।