প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত ১৬ বছরে ভারতের কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সব মিলিয়ে ৭৯৩টি চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করেছে, আরটিআইর (রাইট টু ইনফরমেশন) জবাবে এ তথ্য মিলেছে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন সংস্করণ জানিয়েছে, শহরভিত্তিক অ্যাকটিভিস্ট নূতন ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৭৯৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতিপত্র’ দেয়নি সেন্সর বোর্ড।’
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে ঠাকুর বলেছেন, ‘এসবের মধ্যে ভারতীয় চলচ্চিত্র ৫৮৬টি ও বিদেশি চলচ্চিত্র রয়েছে ২০৭টি। সেন্সর বোর্ডের অনুমতি পায়নি ২৩১টি হিন্দি চলচ্চিত্র। এর পরেই রয়েছে ৯৬টি তামিল, ৫৩টি তেলেগু, ৩৯টি কন্নড়, ২৩টি মালয়ালাম ও ১৭টি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র। এ ছাড়া বাংলা ও মারাঠি ভাষার ১২টি করে চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্র ওই সময়ে নিষিদ্ধ হয়েছে।’
সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ হয় ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে, এ সময়ে ১৫৩টি চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ হয়। ২০১৪-২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৩-২০১৪ সালে ১১৯টি ও ২০১২-২০১৩ সালে ৮২টি চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ হয়েছে। ওই সময়ে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘পারজানিয়া’ (ইংরেজি ২০০৫), ‘অসতোমা সদগময়ো’ (তামিল ২০১২) ও ‘মহল্লা আসসি’ (হিন্দি ২০১৫)।
‘মহল্লা আসসি’র মুক্তির কথা ছিল ২০১৫ সালের ৩০ জুন, কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে নিষিদ্ধ করে সেন্সর বোর্ড। পরে অবশ্য ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর পর্দায় ওঠে ছবিটি।
আবার কিছু চলচ্চিত্র যৌনতা ও অপরাধ প্রবণতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘হারামখোর হাসিনা’, ‘কাটিল শিকারি’, ‘পিয়াসি চন্দানি’, ‘মধুরা স্বপ্নম’, ‘খুনি রাত’, ‘শ্মশানঘাট’, ‘মঞ্চালি পারোসান’ ও ‘সেক্স বিজ্ঞান’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।