পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ভালবাসা দিবসের দিন বন্ধুর তালাকপ্রাপ্ত বোনের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সাবেক স্বামীর হামলায় ব্রজমোহন কলেজের ইংরেজী সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রুবেল হাসান (২২) হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে নগরীর বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলর্স পার্ক) শত শত লোকের উপস্থিতিতে রুবেল হাসান ও তার বন্ধু নাইমুর রহমানকে (২১) কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ৯টার দিকে শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রুবেলের মৃত্যু ঘটে। নাইমুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন ঘাতক মেহেদী হাসান রনিকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক এম. এ কুদ্দুস বলেন, নিহত রুবেলের চাচা মো. নাসির উদ্দিন গতকাল শুক্রবার রনিসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক রনিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুবেল হাসান উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের ছেলে। ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু সাওদা আক্তার (৩০) বরিশাল নগরীর মল্লিক রোডের (নাজমা ভিলা) হাজী নেছার উদ্দিনের মেয়ে। তার প্রথম স্বামীর ঘরে ১১ বছরের ছেলে আছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে প্রেম করে ঝালকাঠীর শহরের বাসিন্দা রনিকে বিয়ে করেছিল।
প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সরকারি মডেল মডেল স্কুলের গেটের সামনে আকষ্মিক কয়েক যুবকের মধ্যে মারামরি দেখতে পান। এসময় চাকু হাতে এক যুবক হামলা চালিয়ে অপর দুই যুবককে আক্রমণ করেছে। রক্তাক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর পর রুবেল হাসানের মৃত্যু ঘটে। ওইদিন ভালবাসা দিবস হওয়ায় সেখানে শত শত নারী-পুরুষের সমাগম ঘটেছিল। সাওদা আক্তার গৃহবধু প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে আসায় তার সাবেক স্বামী রনি চাকু নিয়ে হামলা করেছে।
সাওদার বড় ভাই মো. রাইয়ান জানান, ছোট ভাই রাফসানের সঙ্গে সাওদা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বেড়াতে গিয়েছিল। সঙ্গে রাফসানের বাল্যবন্ধু রুবেল ও নাইমুরও ছিল। রাফসানার তালাক দেওয়া স্বামী রনি সেখানে গিয়ে সাওদার ওপর হামলার চেষ্টা করে। সাওদাকে রক্ষা করতে গেলে চাকুর আঘাতে রুবেল নিহত হয়েছে।
রাইয়ান জানান, নিজের পছন্দে বিয়ে করলেও মাদকাসক্ত হওয়ায় একবছর পর রনিকে তালাক দেয় সাওদা। রনি ভাল হওয়ার অঙ্গীকার করলে আবার তাদের বিয়ে হয়। একই কারণে ২০১৮ সালে আবারও রনিকে তালাক দেয় সাওদা। এরপর থেকে রনি তার পূর্বের স্ত্রী সাওদাকে ফিরে পেতে তাদের বাড়ির সামনে অবস্থান করতো এবং বাড়িতে ঢিল ছুড়ত। বৃহস্পতিবার রনি সারাদিন সাওদাদের বাড়ির সামনে ছিল এবং সাওদার পিছু পিছু বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের মর্গের সামনে নিহত রুবেলের চাচাত ভাই মো. রবিউল বলেন, থানা হাজতে ঘাতক রনি তাকে বলেছে যে সাওদার ফোন পেয়ে সে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এম.এ কুদ্দুস বলেন, ঘাতক রনি মাদকাসক্ত। দুইবার তালাক দেওয়ার পরও সাওদাকে পেতে সে ছিল মরিয়া। এর সঙ্গে রুবেল কিভাবে এর সাথে জড়িয়ে খুন হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।