নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যানবেরায় মঞ্চটা প্রস্তুত করাই ছিল। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারো রুদ্ররূপে দেখা দিলেন মিচেল স্টার্ক। চার সেশন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ১৪৯ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারল ৩৬৬ রানে, আর ২ ম্যাচের সিরিজে হলো হোয়াইটওয়াশ। প্রথম টেস্টে সফরকারী দলটি হেরেছিল ইনিংস ও ৪০ রানে।
সিরিজের ট্রফিটা অজিদের কাছে একটা বিশেষ মহত্ব নিয়েই এসেছে। ২০১৭/১৮ মৌসুমের অ্যাসেজ সিরিজের পর যে আর কোন টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান সফরে সিরিজ হারার পর গত মাসেই ঘরের মাঠে ভারতের কাছে এক সময়ের প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া চার ম্যাচের সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। নড়বড়ে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়া লঙ্কার বিপক্ষে এই জয় তাই টিম পাইনের দলের জন্য স্বস্তিরও।
সিরিজের স্মৃতিটা ভুলেই যেতে চাইবে শ্রীলঙ্কা। দুই টেস্টের চার ইনিংসে মাত্র একবার তারা পেরুতে পেরেছে দুইশ’। এসময় কোন ব্যাটসম্যানই ফিফটি স্পর্শ করতে পারেননি। গত অক্টোবর থেকে খেলে আসা সাত টেস্টের ছয়টিতেই হারল লঙ্কানরা।
ক্যানবেরা টেস্ট জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে ৫১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ দু’দিনে হাতে দশ উইকেট থাকলেও করতে হত ৪৯৯ রান। অনতিক্রম্য লক্ষ্য তাড়ায় সফরকারীরা কাবু হয়ে পড়ে স্টার্ক-কামিন্সের একের পর এক আঘাতে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চান্দিমাল বাহিনীর স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ৯৭ রানে। সপ্তম উইকেটে আসে সবচেয়ে বড় ৪৬ রানের প্রতিরোধ। কিন্তু চামিকা করুনারতেœ ও কুসল মেন্ডিসের ৪৬ রানের প্রতিরোধ পরাজয়ের ব্যবধান একটু কমিয়েছে মাত্র। লঙ্কানরা শেষ চার উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারে মাত্র ৬ রান। মেন্ডিস ৬৯ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪২। দুই অঙ্কের ইনিংস আর তিনটি-থিরিমান্নের ৩০, ডিকভেলার ২৭ ও চামিকার ২২। স্টার্ক ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট নেন। প্যাট কামিন্স নেন তিনটি। এই নিয়ে ১১তম বারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন স্টার্ক, আর ম্যাচে দশ উইকেট নিলেন দ্বিতীয় বার। প্রথম ইনিংসেও ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন স্টার্ক। ফলে পুরো ম্যাচে তার বোলিং ফিগার দাড়ালো ১০০ রানে ১০ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। সিরিজ সেরা হন অস্ট্রেলিয়ারই প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তি মিশন ভারত। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টি-২০ ও ৫ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অজিরা। আর শ্রীলঙ্কা সফর করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরে ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-২০ খেলবে লঙ্কানরা।
অস্ট্রেলিয়া : ৫৩৪/৫ ডিক্লে. ও ১৯৬/৩ ডিক্লে.
শ্রীলঙ্কা : ২১৫ ও (আগের দিন ১৭/০) ৫১ ওভারে ১৪৯ (দিমুথ করুনারতেœ ৮, থিরিমান্নে ৩০, চান্দিমাল ৪, ডিকভেলা ২৭, মেন্ডিস ৪২, কুসল পেরেরা ০, ধনাঞ্জয়া ৬, চামিকা করুনারতেœ ২২, দিলরুয়ান ৪, রাজিথা ২*, বিশ্ব ০; স্টার্ক ৫/৪৬, রিচার্ডসন ১/২৯, লায়ন ০/৫১, কামিন্স ৩/১৫, লাবুশেন ১/৬)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩৬৬ রানে জয়ী। সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-০তে জয়ী। ম্যাচসেরা : মিচেল স্টার্ক। সিরিজসেরা : প্যাট কামিন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।