Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গেইলের পরই লুইস

ইমরান মাহমুদ, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম সেঞ্চুরিটা করেছিলেন উইন্ডিজ তারকা ক্রিস গেইল। একই আসরেই করেছেন দ্বিতীয়টাও। এখন পর্যন্ত করেছেন ৫টি। পরের পাঁচটি আসর পেরুলেও একাধিক সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটসম্যানের দেখা মিলছিলনা ঘরোয়া ক্রিকেটে জমজমাট এই আসরে। অবশেষে ষষ্ঠ আসরে এসে কোন ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। তৃতীয় আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন আরেক ক্যারিবিয়ান এভিন লুইস।
বিপিএলে লুইস তার প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন এই চট্টগ্রামেই, বরিশাল বুলসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। তাও মাত্র ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। ২০১৫ সালে করা সে সেঞ্চুরির পর আবার এদিন করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে। এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে কুমিল্লার ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমেছিলেন লুইস। দারুণ এক জুটি গড়ে তামিম আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত খেলেছেন লুইস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে গতকাল ৩১ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। তিন অঙ্ক ছুঁতে খেলেন আর মাত্র ১৬ বল। ফিফটির আগে মেরেছিলেন দুটি ছক্কা, আর পঞ্চাশ থেকে একশতে যেতে ছক্কা মারেন সাতটি। সব মিলিয়ে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংসটি মাত্র ৪৭ বলের। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় বেশি মনযোগী ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ৫টি চার বীপরিতে ছক্কা মেরেছেন ১০টি। শরিফুল ইসলামের বলে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দেন লুইস। তবে সবচেয়ে বেশি তোপ দাগিয়েছেন তরুণ নূর আলম সাদ্দামকে। তার করা ১৪তম ওভারে মেরেছেন ৪টি ছক্কা। মোট ২৭ রান দিয়েছেন তিনি।
আর লুইসের তোপে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তরুণ সাদ্দাম। বিপিএলের ইতিহাসে এখন তিনিই সবচেয়ে খরুচে বোলার। এদিন চার ওভারে রান দিয়েছেন ৫৭টি। চলতি আসরেই সিলেট সিক্সার্সের দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মেহেদী হাসান রানা ৫৭ রানের খরুচে রেকর্ডটা গড়েছিলেন। তবে এদিন সাদ্দামের সঙ্গী আরেক তরুণ শরিফুলও কম যাননি। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৫৩ রান।
অথচ কুঁচকিতে টান লাগায় টানা ছয় ম্যাচে দর্শক হয়েই সময় কাটাতে হয়েছে লুইসকে। ফিরলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। কারণ খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচটা হারলেই শেষ চারের সমীকরণ কঠিন হয়ে যেন দলটির। অথচ এদিনও প্রথম বল খেলতে গিয়ে ফের কুঁচকিতে টান খেয়েছেন, রান নিয়েছেন খুড়িয়ে। সেই শঙ্কা কাটিয়ে ধীর শুরুর পর খেলস ছেড়ে বেড়িয়ে করেছেন সেঞ্চুরি। আর তাতে ভর করে ৫ উইকেটে ২৩৭ রানের বিশাল স্কোরই দাঁড় করিয়েছিল কুমিল্লা। যা বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কদিন আগেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। জবাবে মাত্র শহীদ আফ্রিদী ঝলক আর ওয়াহাব রিয়াজের হ্যাটট্রিকে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় আগেই আসর থেকে বিদায় নেয়া খুলনা।
এই নিয়ে বিপিএলে সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬তে। প্রথম আসরেই ২টি সেঞ্চুরি করেন গেইল। সেবার বরিশাল বার্নার্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। পরের আসরে মাত্র এক দিনের ঝটিকা সফরে ঢাকা গøাডিয়েটর্সের হয়ে করেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর গত আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে করেন বাকি দুটি।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের প্রথম শতক তুলে নিয়েছিলেন রাজশাহী কিংসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্স। ৬২ বলে ৯টি চার আর ৬টি ছক্কায় ১০৪ রান করেন ইভান্স। সেই ম্যাচে তার ব্যাটে ভর করে ভিক্টোরিয়ান্সদের ৩৮ রানে হারায় কিংসরা।
এরপর আসরের ৩০তম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে নিজের প্রথম ও চলতি আসরের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শতকের দেখা পান অ্যালেক্স হেলস। ৪৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০০ রান তুলে বিদায় নেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। একই ম্যাচে ব্যাটে ঝড় তুলে ৫১ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় শতক তুলে নেন রুশো। চলতি আসরের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শতক তুলে শেষ পর্যন্ত ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান।
এবার আসরের চতুর্থ শতকটি নিজের করে নিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের উইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস।

বিপিএলের সেঞ্চুরিয়ানরা
খেলোয়াড় সেঞ্চুরি সংখ্যা
ক্রিস গেইল ৫
এভিন লুইস ২
ডোয়াইন স্মিথ ১
আহমেদ শেহজাদ ১
শাহরিয়ার নাফীস ১
মোহাম্মদ আশরাফুল ১
সাব্বির রহমান ১
জনসন চার্লস ১
লরি ইভান্স ১
রাইলি রুশো ১
অ্যালেক্স হেলস ১

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লুইস

২৯ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ