Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেন্ট লুইসে হাই স্কুলে গোলাগুলিতে নিহত ৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার মধ্যেই বন্দুকধারীর অস্ত্র জ্যাম হয়ে যাওয়ায় অনেক জীবন রক্ষা পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস শহরের একটি হাই স্কুলে গোলাগুলিতে সন্দেহভাজনসহ অন্তত তিন জন নিহত ও আরও সাত জন আহত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার একটু পর মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের শহরটির সেন্ট্রাল ভিজুয়্যাল এন্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলে ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারী প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় স্কুল ভবনের দরজাগুলো বন্ধ ছিল, সন্দেহভাজন কীভাবে সেখানে প্রবেশ করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার মধ্যেই বন্দুকধারীর অস্ত্র জ্যাম হয়ে যাওয়ায় অনেক জীবন রক্ষা পায়। সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল বলেছে, পুলিশ বন্দুকধারীকে ‘দ্রæত থামিয়েছে’। সন্দেহভাজনকে ১৯ বছর বয়সী সাবেক শিক্ষার্থী বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ, সে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যায়। প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী থাকা স্কুলটিতে সে কেনো হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি। স্কুলের ভেতরেই এক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় আর হাসপাতালে আরেক নারীর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। আহত সাত জনের মধ্যে তিন জন বালিকা ও চার জন বালক। তাদের কারও জখমই প্রাণঘাতী নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। সেন্ট লুইসের পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাক জানিয়েছেন, যখন পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলটিতে পৌঁছান তখন শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে দৌঁড়ে বের হচ্ছিল, পুলিশকে দেখে তারা জানায় হামলাকারীর হাতে ‘লম্বা বন্দুক’ আছে। তিনি জানান, স্কুলটির সাত নিরাপত্তা কর্মী দ্রæত অন্যদের সতর্ক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। বন্দুকধারীর কাছে প্রায় ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতার ম্যাগাজিন ছিল আর সেগুলোতে কয়েকশ গুলি ছিল জানিয়ে স্যাক বলেন, “ঘটনা আরও অনেক খারাপ হতে পারতো।” স্কুলটির এক শিক্ষার্থী স্থানীয় সংবাদ স্টেশন কেএমওভিকে জানিয়েছেন, হামলাকারী হেঁটে তার এক মেয়ে বন্ধুর কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, “তুমি মরতে প্রস্তুত?” রাভেন টেরি নামের এই শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা অনেক জোরে দৌড় দেই আর আমরা কাঁদছিলাম। এ ঘটনায় আমরা সবাই কেঁপে উঠেছি।” সেন্ট লুইস পোস্ট-ডিসপ্যাচ সংবাদপত্রকে শিক্ষার্থী তানিয়া গোলস্টন (১৬) জানান, বন্দুকধারী তার ক্লাশরুমে প্রবেশ করে তাকে গুলি করার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, “আমি দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দৌড়াতে পারছিলাম না। বন্দুকধারীর সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে যায় কিন্তু তার বন্দুক জ্যাম হয়ে যাওয়ায় আমি পালিয়ে বাঁচি।” “এই অসহ্য স্কুল নিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,” হামলাকারী এমনটি বলছিল বলে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী গত বছর এই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে এবং তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না। নিহতদের মধ্যে একজনকে স্কুলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষক জিন কুজকা (৬১) বলে শনাক্ত করেছে তার পরিবার। কুজকা ২০০৮ সালে স্কুলটিতে যোগ দিয়েছিলেন। রয়টার্স, সিএনএন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেন্ট লুইস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ