যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
মাঘের শীতে বাঘ কাপে। মাঘ শুরু হলেও বাঘ কাপে তেমন শীতের দেখা নেই। উল্টো পৌষে যে শীত ছিল তা অনেকটাই কমেছে। চিকিৎসকরা সাবধান করে দিয়ে বলেন আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ এবং জ্বর হওয়া স্বাভাবিক। এতে অনেকেই কাবু হয়ে পড়েন। এমন অসুস্থতায় হুট করে কাফ সিরাপ খাওয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, এমন অসুখে চকোলেট খেলে অনেক ভালো কাজ করবে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস। তিনি সাংবাদিকদের কাছে শীত মৌসুমে অসুস্থতা নিয়ে একটি সমীক্ষা তুলে ধরেছেন। এতে বলা হয়েছে, সর্দি-কাশির জন্য বাজারে বিভিন্ন নামে একই উপদানের ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ওষুধের অন্যতম উপাদান হচ্ছে কোকোয়া। সর্দি-কাশির সময় কোকোয়া রয়েছে তেমন ওষুধ সেবন করলে দ্রুত সুস্থতা লাভ করা যায়।
এদিকে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সর্দি-কাশির ওষুধে কোডিনও ব্যবহার করা হয়। যাতে মাথা ধরা, কাশি এবং কফের সমস্যা দূর হয়। কোডিনের তুলনায় কম সময়ে দ্রুত গতিতে কাজ করে কোকোয়া। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা কাটানো যায়। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে না।
চকোলেটই দুইভাবে কাজ করে। প্রথমত, মধুর মতো গলায় আঠালো একটা আস্তরণ তৈরি করে চকোলেট। তাতে স্নায়ুপ্রান্তগুলি ঢাকা পড়ে যায়। তাই ঠান্ডা লাগলেও গলা খুসখুস করা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামের বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে। এটি কাশির মাধ্যমে বারবার কাফ ফেলার শারীরিক প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। সাধারণ ওষুধের চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই গলার মধ্য তুলনামূলক মোটা আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাতেও কমে যায় কাশি।
গবেষকরা জানিয়েছেন সর্দি-কাশিতে হট চকোলেটে তেমন একটা কাজ হবে না। কারণ চকোলেট হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি গলা বেয়ে নেমে যাবে। মোটা আস্তরণ আর গড়ে উঠবে না গলায়। ওজন নিয়ে চিন্তা থাকলে নিশ্চিন্তে মিষ্টি ছাড়া ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। আবার সরাসরি কোকোয়াও খাওয়া যেতে পারে। সূত্র : ডেইলিমেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।