মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের ওপর জারিকৃত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হয়েছে- এমন অভিযোগেই চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়াংঝুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কানাডার আইনজীবীরা। শুক্রবার কানাডার আদালতে মেং ওয়াংঝুর জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীরা এ তথ্য জানান। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার আদালতে আইনজীবীরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিল হুয়াওয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হংকংভিত্তিক কোম্পানি স্কাইকম। যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবিদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে ব্যাংকের কাছে অসত্য তথ্য দিয়েছেন মেং ওয়াংঝু। গত ১ ডিসেম্বর হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অনুরোধের ভিত্তিতে তাকে আটক করে কানাডা। মেং ওয়াংঝুর জামিন নিয়ে এখনও কোন আদেশ দেননি কানাডার আদালত। শুনানি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৩ সালে স্কাইকম ইরানের কাছে হেলওয়েট-প্যাকার্ডের কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রির চেষ্টা করেছিল বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রয়টার্সের ঐ প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই হুয়াওয়ের সাথে স্কাইকমের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৭ সালে হুয়াওয়ের প্যারেন্ট কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত একটি ম্যানেজমেন্ট ফার্মের হাতে স্কাইকমের সব শেয়ারের মালিকানা ছিল। সে সময় মেং ওয়াংঝু ওই ম্যানেজমেন্ট ফার্মের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া ২০০৮ সালে স্কাইকমের বোর্ডেও কাজ করেন মেং। কোম্পানির আভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, স্কাইকমের তেহরান অফিস ব্যবহার করে হুয়াওয়ে ইরানি কোম্পানির কাছে মোবাইল নেটওয়ার্কের যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছিল। শুক্রবার কানাডার আদালতের প্রকাশিত নথি থেকে দেখা যায়, ব্যাংকের কাছে স্কাইকমের সাথে হুয়াওয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা গোপন করেন মেং ওয়াংঝু। এর ফলে ইরানে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকের সহায়তা পায় হুয়াওয়ে। তবে কোন ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে তা নথিতে প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে হুয়াওয়ের মোবাইল নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। তবে চীন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সম্প্রতি চীনে পাস হওয়া একটি আইনে চীনের সব কোম্পানিকে জাতীয় ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্কের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ওই আইনের পর গুপ্তচরবৃত্তির আশংকায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড তাদের দেশের স্থানীয় কোম্পানিগুলোর ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ার যন্ত্রপাতি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।