প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেন ছাত্রীকে। এতে সাড়া না পেয়ে তার মা-বাবার কাছে দেন বিয়ের প্রস্তাব। তাতেও সাড়া মেলেনি। আর এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ছাত্রীর মা ও বাপ-চাচাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছেন গৃহশিক্ষক মো. শাহজাহান (৩০)। বটির কোপে মা শাহীনা বেগম (৩৫) মারা গেছেন। নগরীর বিশ্ব কলোনি বেড়া মসজিদ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা। বাসায় ঢুকে ছাত্রীর মা ও বাবা-চাচাকে কোপানোর সময় স্থানীয়রা আটক করে শাহজাহানকে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, নিহত শাহীনা বেগম বেড়া মসজিদ এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। জসিম উদ্দিন মুদি দোকানদার। তিনি বলেন, জসিমের নবম শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে পড়াতেন শাহজাহান। জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, তিনি প্রথমে ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। ছাত্রী প্রত্যাখান করলে শাহজাহান জসিম উদ্দিন ও শাহীনা বেগমের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে শাহজাহানকে বাসায় আসতে মানা করেন। গতকাল বিকেলে শাহজাহান আবারও ছাত্রীর বাসায় গেলে শাহীনার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহজাহান বটি দিয়ে শাহীনাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। জসিম ও তার ছোট ভাই শাহীনাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শাহজাহান তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। তবে জসিম ও তার ভাইয়ের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানান ওসি মো. জসিম উদ্দিন। ওসি জানান, শাহজাহান বিএ পাস বলে ওই বাসায় ছাত্রীকে পড়াতে যান। বাস্তবে সে এসএসসি পাস। তার গ্রামের বাড়ি মীরসরাইতে। বেড়া মসজিদ এলাকায় একটি সিডির দোকান রয়েছে তার। মা-বাবার সাথে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন শাহজাহান। ওসি জানান, মূলত ওই মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতেই সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গৃহশিক্ষক হন। সে এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহীনাকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে।