মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছিল অনেকটাই। এক পর্যায়ে কিমের ‘প্রেমে পড়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সে প্রেমেই যেন এখন ঘটছে বিচ্ছেদ।
একে অপরের সঙ্গে আর আলোচনা করছেন না বিশ্বের এ দুই নেতা। বরং যেন ঠাঁয় একে অপরের দিকে চেয়ে তারা দেখতে চাইছেন কে আগে নতজানু হয়। নিজ নিজ অবস্থান থেকেও নড়তে চাইছেন না কেউই। ১২ জুন সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠকের পর এ সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে আলোচনা করতে কিম জং-উনের সহযোগী কিম ইয়ং-চোলের নিউ ইয়র্ক ভ্রমণের কথা ছিল। কিন্তু উত্তর কোরিয়া পরিকল্পনামাফিক এ সফরে না আসায় বৈঠক শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, বৈঠকের তারিখ আবার নির্ধারণ করা হবে। ট্রাম্পও বলেছেন, সবকিছু যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তিনি খুশী। তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই।
উত্তর কোরিয়ার ওপর এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই পক্ষের মধ্যে অচলাবস্থার মূলে আছে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে পরিপূর্ণ সমঝোতা না হওয়া।
উত্তর কোরিয়া শুরু থেকেই স্পষ্ট বলে এসেছে, তারা একতরফাভাবে নিরস্ত্রীকরণ করা নয় বরং এর বিনিময়ে কিছু পেতে চায়। তাছাড়া, এতদিনে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পাওয়ার মত যথেষ্ট পদক্ষেপ উত্তর কোরিয়া নিয়েছে বলেই মনে করে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনই উত্তর কোরিয়াকে এ ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়া পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞায় তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
উত্তর কোরিয়ায় এখনো ১৩টি গোপন মিসাইল বেস
এদিকে বিগত কয়েক মাসে কিম জং উনের পরমাণু কার্যকলাপের কথা খুব বেশি শোনা যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর কিছুটা প্রশমিত হয় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা। তবে এবার আমেরিকার রিপোর্ট বলছে, সে দেশে গোপনে রয়েছে একাধিক পরমাণু ঘাঁটি। স্যাটেলাইট ইমেজে উঠে আসছে সেইসব অস্ত্রাগারের ছবি।
মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংকের দাবি, অন্তত ২০টি গোপন মিসাইল বেস রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। তার মধ্যে অন্তত ১৩টির ছবি ধরা পড়েছে মার্কিন স্যাটেলাইটে। ওয়াশিংটনের ‘সেন্টার ফর স্টারাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর পক্ষ থেকে গবেষক জোসেফ বার্মুডেজের এ দাবি করেন। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা সত্বেও ওই মিলিটারি বেসগুলিতে চলছে কাজকর্ম। গত জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠকে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন। সেখানেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বা ডিনিউক্লিয়ারাইজেশন নিয়ে কথা হয় দু’পক্ষের। সেই বোঝাপড়া বেশ কিছুদূর এগোয়। এরপর ট্রাম্প ট্যুইটারে লেখেন, উত্তর কোরিয়া থেকে আর কোনোরকম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার আশঙ্কা নেই। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়াও দাবি করে যে মিসাইল ও নিউক্লিয়ার বম্ব পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
পুঙ্গে-রি নিউক্লিয়ার টেস্টিং সাইট ও সোহে মিসাইল টেস্টিং ফেসিলিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখনও পাহাড়ের খাঁজে অস্ত্রাগার লুকিয়ে আছে কিম জং উনের দেশে। সেই ছবিই ধরা পড়েছে আমেরিকায়। মনে করা হচ্ছে সেখানে এমন ব্যালিস্টিক মিসাইলও আছে যা আমেরিকার যে কোনও জায়গাকে অনায়াসে টার্গেট করতে পারে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।