মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঐতিহাসিক বৈঠক এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সাক্ষর শেষে নিজেদের বিদায় জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম জং উন। বিদায় নেওয়ার আগে শেষবারের মতো একে অপরের হাত মেলান এ দুই রাষ্ট্র প্রধান।
জানা যায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় সিঙ্গাপুর ছাড়বেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন বৈঠকস্থল সেন্টোসা দ্বীপ ত্যাগ করেছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার (১২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তবে এই চুক্তির বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি স্বাক্ষর করেছেন। তিনি চুক্তির পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা যায়, ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে চুক্তির বিষয়বস্তু খোলাসা করবেন।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ট্রাম্প মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেবেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
করমর্দনের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক শুরু করেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বৈঠকে ট্রাম্প ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্পের পাশে বসে অভিনন্দন জানান কিম। এসময় তিনি বলেন, জনাব প্রেসিডেন্ট আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি আনন্দিত। কিমের অভিনন্দনের জবাবে ট্রাম্প কিমকে পছন্দ সূচক ইশারা (থাম্বস আপ) দিয়েছেন। ট্রাম্প জানান, তিনি নিশ্চিত তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি খুব পুলকিত বোধ করছি। একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা হতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এটি সত্যিকার অর্থেই সফল হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হবে।
বৈঠক শুরুর আগে প্রায় আধঘণ্টা জুড়ে বৈঠকের প্রারম্ভিক বিষয়গুলো সম্পন্ন করেছেন ট্রাম্প ও উন। এরপর তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাসভার জন্য কাপেলা হোটেলের বৈঠক কক্ষে প্রবেশ করেন।
কিম বলেন, এখানে বৈঠকের জন্য আসা খুব সহজ ছিল না। পূর্ব আমাদের অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠেছি এবং আমরা আজ এখানে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গত ১৮ মাসে উত্তরের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তার সম্পর্কের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। প্রথম দিকে একে অপরকে চূড়ান্ত অপমান করে যুদ্ধের হুমকি দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুজনের মধ্যে উষ্ণতার আবহ গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় এ সম্মেলন। এতে বৈরিতারর পরিবর্তে জেগে উঠেছে শান্তির আশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।