Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হাটহাজারীতে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ পাঁচ দগ্ধের ২ জনের মৃত্যু

হাটহাজারী উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে নারী ও দুই শিশুসহ দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই শিশুর নাম রাজিয়া ও তামীম।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার উপজেলার খোশাল শাহ মাজার গেইট সংলগ্ন একটি তিনতলা ভবনের জনৈক সেলিমের মালিকানাধীন ভবনটিতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া আকতার (২৪) দুই শিশুপুত্র তামীম (৩) ও ইয়ামিন (১)। অন্যরা হলো রুবি আকতার (১৪) ও রাজিয়া সুলতানা (১১)। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ণ ধর জানান, গতকার বৃহস্পতিবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম ও রাজিয়া সুলতানা মারা যায়।

তানিমের মা সোনিয়া আক্তার (২৫), সোনিয়ার এক বছর বয়সী মেয়ে মিম এবং প্রতিবেশী রুবি আক্তার (১৫) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান নারায়ণ ধর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বাসাটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিস্ফোরক দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যে রিপোর্ট দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সোনিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি বাসার পাশে একটি কুলিং কর্নারের ব্যবসা করেন।

বিকট শব্দে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী, দুই ছেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে আনেন তিনি। তিন বছর ধরে আনোয়ার নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামে এসে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। আগে পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন তারা।
ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা বলেন, লিকেজ হয়ে বন্ধ ঘরে গ্যাস জমে ছিল।আগুন জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন গত বুধবার ওই বাসায় উঠেছেন। বিস্ফোরণে তুহিনের ছোট বোন রাজিয়া সুলতানাও আহত হয়। তুহিনের বাড়ি রাঙামাটি জেলার বনরূপা ফরেস্ট গেইট এলাকায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ