প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের খ্যাতনামা সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক আনু মালিকের বিরুদ্ধে এবার যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন গায়িকা শ্বেতা পন্ডিত। তিনি বলেছেন, আনু মালিক আমাকে বলেছিলেন, আমি যেন তাকে চুমু দেই। এখানেই থেমে যাননি শ্বেতা পন্ডিত। তিনি আনু মালিককে একজন ‘সিরিয়াল নারী শিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, আনু মালিক একজন যৌন শিকারীও। ভারতে যৌনতা বিরোধী মি-টু আন্দোলনে চারদিক যখন উত্তপ্ত তখন এমন অভিযোগ করলেন শ্বেতা।
আনু মালিকের পুরো নাম আনোয়ার সরদার মালিক। তাকে ডাকা হয় আনু মালিক নামে। তিনি ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৯০ এর দশকের বড় মাপের সুরকারদের অন্যতম তিনি। মি-টু আন্দোলনে গত বুধবার পদত্যাগ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। এ বিষয়টি গত বুধবার ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। আর ইন্টারনেটের কল্যাণে সেই খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে।
সোনা মহাপাত্র তার মি-টু কাহিনী ফাঁস করে গায়ক কৈলাশ খেরকে অভিযুক্ত করেন। তিনি নারীদের প্রতি আনু মালিকের আচরণকে উদ্ভট বলে আখ্যায়িত করেন। তাকে ‘সিরিয়াল নারী শিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এ নিয়ে আলোচনা শেষ না হতেই শ্বেতা পন্ডিত এগিয়ে এলেন। তিনি টুইটারে প্রকাশ করলেন তার কাহিনী। তাতে তিনি আনু মালিককে অভিযুক্ত করলেন। বললেন, আনু মালিক একজন যৌন নিপীড়ক। নারী শিকারী। এতে শ্বেতা পূর্ণ দৈর্ঘ্য একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে ২০০১ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন তিনি। শ্বেতা বলেছেন, তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। ওই সময়ই তিনি হতাশাজনক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, এটাই আমার মি-টু কাহিনী। আমি আনু মালিকের বিষয়ে তরুণী বা যুবতীদেরকে সতর্ক করতে চাই। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।