পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিএনপির জনসভা সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন সেটিকে কৌতুক হিসাবে পর্যবেক্ষক মহল বিবেচনা করছেন। দৈনিক ইনকিলাবের সোমবার সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় স্টাফ রিপোর্টার পরিবেশিত সংবাদটির শিরোনাম, ‘বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক/সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের।’ প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি জনসমর্থন হারানোর প্রমাণ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এলোমেলো দল বিএনপি হাঁক ডাক দিয়ে মহাসমাবেশ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তর্জন-গর্জনই সার। কক্সবাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় রাস্তায় যে আটটি সমাবেশ আমরা করেছি তাতে যে উপস্থিতি ছিল তাদের কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশের উপস্থিতি সেগুলোর ধারে কাছেও নেই। তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে উপস্থিতি হতাশাজনক। এ উপস্থিতি দেখে মনে হয় জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। এ দলটি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ক্রমেই জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে দলটি। সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারির কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, এই যে জাতীয় ঐক্য, হাতাহাতি মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জাতীয় ঐক্যের সূচনা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।’
বিএনপির রবিবারের সভায় কত হাজার নয়, কত লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটেছিল সেটি এই কলামে আমাকে যে বলতে হবে সেটি কোনো সময় ভাবিনি। এই ওবায়দুল কাদের সাহেবই অতীতে বহুবার বলেছেন যে, সত্যকে কোনো দিন চেপে রাখা যায় না। আকাশে যদি চাঁদ ওঠে আর সেই আকাশ যদি মেঘলা না থাকে, সেই আকাশ যদি থাকে স্বচ্ছ সুনির্মল, তাহলে সেই চাঁদ কারো কাছ থেকে আড়াল করা যায় না বা লুকিয়ে রাখা যায় না। ঊর্ধ্বাকাশে তাকালেই সকলের চোখে সেই উজ্জ্বল চাঁদ ধরা পড়ে। সেই পাকিস্তান আমলে দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ যখন আওয়ামী লীগের ছিল দারুণ সমর্থক তখন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পল্টন ময়দানে যেসব জনসভা করতেন সেগুলোকে বলা হতো বিশাল জনসভা। তৎকালীন আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দল সেই জনসভার উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করলে তখন ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একটি কথা তার জনপ্রিয় কলামে প্রায়ই লিখতেন। তার কলামটির নাম ছিল ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’। মানিক মিয়া ছদ্মনামে এই কলামটি লিখতেন। সেই ছদ্ম নাম ছিল ‘মোসাফির’। মোসাফির সোহরাওয়ার্দীর জনসভার কটাক্ষকারীদের বলতেন, ‘ছবি কোনো দিন মিছে কথা বলে না’। এর পর তিনি সেই জনসভার ছবি আরেকবার ছাপতেন। ফলে নিন্দুকরা খামোস হয়ে যেতেন।
রবিবার বিএনপির জনসভা সম্পর্কেও একই কথা বলা চলে। আকাশে চাঁদ উঠলে যেমন লোক চক্ষুর আড়ালে সেটিকে রাখা যায় না, তেমনি ঐ মিটিংয়ে যে লক্ষ লক্ষ লোক গিয়েছিল তাদের নিকট থেকেও তো ঐ বিশাল জনসভা আড়াল করা যায়নি। অনুরূপভাবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় যেসব ছবি উঠেছে সেখানেও জনসমাবেশের বিশালত্ব পরিষ্কার প্রস্ফূটিত হয়েছে। আমরা এখানে ইংরেজি ডেইলি স্টারের ছবিটি দিলাম। ডেইলি স্টার মোটেই বিএনিপপন্থী পত্রিকা নয়। বরং অতীতে দেখা গেছে, এই পত্রিকাটি অনেক ইস্যুতে বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে। সেই ডেইলি স্টার সোমবার প্রথম পৃষ্ঠায় জনসভার যে ছবি ছেপেছে, আপনারা পাঠক ভাইয়েরা সেটি দেখুন।
দুই
রবিবারের ঐ সভায় যে বিপুল জন সমাগম হয়েছিল সেটি আওয়ামী লীগ নেতবৃন্দের কল্পনাকেও হার মানায়। আমার কথা নয়, জনসভায় উপস্থিত অনেক লোক বিস্মিত কণ্ঠে বলেছেন, জনসভায় এত লোক হয়েছিল যে সেটি তাদের প্রত্যাশাকেও হার মানিয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট এলাকাটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছিল। তারপর সেটি উপচে পড়ে চলে যায় পাশ্ববর্তী রমনা পার্কে। বিএনপি নেতা, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং ঐ সভার সঞ্চালক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে জনগণকে বলেন, শুধু মাত্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই এই সভাটি হচ্ছে না। পেছনে তাকিয়ে দেখুন, রমনা পার্কেও আর একটি জনসভা হচ্ছে। অর্থাৎ জন স্রোত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে রমনা পার্কে প্রবাহিত হয়েছে। সেখান থেকে জনগণের ঐ স্রোতধারা উপচে প্রবাহিত হয় মৎস্যভবন, সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে প্রেসক্লাব পর্যন্ত। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ সড়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় পর্যন্ত জনগণের এই প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে।
আর একটি বিষয় লক্ষণীয়। রবিবার যথারীতি অফিস ছিল। অথচ বেলা ১০টা থেকেই বিকেল পর্যন্ত রাস্তা ছিল ফাঁকা। কদাচিৎ দুই একটি বাস দেখা গেছে। মনে হচ্ছিলো যেন ঢাকা মহানগরীতে হরতাল পালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে যেসব হরতাল পালিত হয়েছে, সেইসব হরতালে যতগুলো বাস চলাচল করেছে, গত সোমবার তত বাসও চলাচল করেনি। ধানমন্ডিতে একটি ব্যাংকে গিয়েছিলাম। মিরপুর মোহাম্মদপুরে থাকেন এমন অনেক অফিসার বললেন, তারা বাস পাননি। তাই এত লম্বা রাস্তা কেউ সিএনজিতে এসেছেন, কেউ রিক্সায় এসেছেন। অবশ্য মানুষের মুখে তো আর ট্যাক্স বসানো যায় না। তাই কেউ কেউ বললেন, সরকারি ইঙ্গিতে ঢাকা মহানগরীতে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে অথবা সীমিত করা হয়েছে, যাতে করে মানুষ এত গরমে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী পর্যন্ত আসতে না পারে। এতকিছুর পরেও লক্ষ লক্ষ মানুষ।
অধিকাংশ দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে বেলা ১২টার পর থেকেই নিউজ আসছিল যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছে মানুষের ঢল। চতুর্দিক থেকে আসছে মানুষের ঢল। ঐ জনসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নিজেই বলেছেন যে, যদি সরকার তাদেরকে ৭ দিন সময় দিতো তাহলে এই সমাবেশ যত বড় হয়েছে তার চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ হতে পারতো। আর এক নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বক্তৃতায় প্রসঙ্গে বলেছেন, বেগম জিয়া নাই, তারেক রহমানও নাই। তারপরেও তাদের জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি। আজ যদি এই জনসভায় বেগম জিয়া উপস্থিত থাকতেন এবং তিনি উপস্থিত থাকবেন সেই সংবাদ ৭ দিন আগে থেকেই প্রচার করা যেতো তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী মানুষের ঢলে ঢাকা অচল হয়ে যেতো। আসলেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অথবা খন্দকার মোশারফ হোসেন এতটুকু বাড়িয়ে বলেননি।
তিন
এতক্ষণ বললাম জনসভায় উপস্থিতির বিশালত্ব নিয়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাদের ইদানীং হলোটা কী? তারা সবকিছুর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন কেন? যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে তার মধ্যে তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান। যুক্তফ্রন্ট এবং ঐক্য প্রক্রিয়া যখন এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করে তখনও তার মধ্যে তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান। ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিএনপির ৪ জন নেতা গিয়ে যখন সংহতি প্রকাশ করেন তখন তার মধ্যেও তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান। সবশেষে রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে বিশাল জনসভা হয়ে গেল সেখানেও তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করেন। দেখে শুনে মনে হচ্ছে যে, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে। যতগুলো ঘটনার কথা বললাম সবগুলোই তো প্রকাশ্য ঘটনা। প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে ঘোষণা দিয়ে এবং বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে একজনও অস্ত্র বহন করা তো দূরের কথা, পকেটে একটি ঢিলও নিয়ে যায়নি। পুলিশ অনেককেই চেক করে ঢুকিয়েছে। কারো কাছে কিছু পাওয়া যায়নি। আর পাওয়া যাবেই বা কোত্থেকে? নিজেদের মিটিং নিজেরাই কি কেউ পন্ড করে? নিজেদের মিটিংয়ে গোলমাল করার জন্য কেউ কি বোমা নিয়ে যায়? বিএনপি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে একদিনও কোনো গোপন মিটিং করেনি। বেগম জিয়াকে যেদিন গ্রেফতার করা হয় সেদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রায় লক্ষ নেতা কর্মী এখানে সেখানে ছিলেন। তাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রীর কারাদন্ডে তারা চরম বিক্ষুব্ধ হয়। তারা যদি চাইতো তাহলে সেদিনই মহানগরীতে একটি দক্ষযজ্ঞ কান্ড বাধাতে পারতেন। কিন্তু এতবড় ঘটনাও তারা নীরবে হজম করেন। কারণ নেত্রী যাওয়ার আগে বলে গেছেন, তোমরা আমার মুক্তির দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে। কোনো ভায়োলেন্স করবে না। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর মতো বিএনপির হাজার হাজার কর্মী এখন পর্যন্ত নেত্রীর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছেন। বিগত মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর বিএনপিকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাইরের মুক্ত আলো-বাতাস উপভোগ করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, বাইরে এলেই তারা নাশকতা করবে। আজকে প্রায় ৫/৬ বছর হলো বিএনপির অনেক নেতা কর্মী ঘরে থাকতে পারেন না। হুলিয়া মাথায় নিয়ে তারা পলাতক জীবন যাপন করছেন। তারপরেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সর্বত্র নাশকতা এবং সন্ত্রাসের জুজু দেখছেন। আসলে আওয়ামী লীগ চাচ্ছে, বিএনপি কিছু একটা করুক, যাতে করে সরকার বিএনপির ওপর আবার নতুন করে দমননীতির স্টিম রোলার চালাতে পারে।
চার
বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার শেষ নাই। এখন আবার সেখানে যুক্ত হয়েছে জামায়াত ইস্যু। অথচ বিএনপি বিষয়টি বারবার পরিষ্কার করেছে। তারা যখন যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে এ্যালায়েন্স করবে সেখানে জামায়াত থাকবে না। বি চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরী জামায়াতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছেন। জামায়াত নেতারা বরং সেখানে নিজে থেকে বলেছেন যে, তারা ঐ এ্যালায়েন্সে গেলে যেহেতু ঝামেলা হচ্ছে তাই তারা সেখানে যেতে ইচ্ছুক নন। সুতরাং জামায়াত কাহিনীর এখানেই শেষ। এছাড়া জামায়াতের কোনো নিবন্ধন নাই। পলিটিক্যাল পার্টি হিসাবে, বিশেষ করে নির্বাচনী মাঠে তারা তো একজিস্টই করে না। অন্যদিকে বিএনিপর নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট বেশ কয়েক বছর থেকে আছে। সেখানে ২০ দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামও আছে। এই খানে তো বি চৌধুরী এবং তার পুত্র মাহি বি চৌধুরীর নাক গলানোর কথা নয়। তবে বিএনপি রবিবারের জনসভায় বেশ ম্যাচিউরিটি দেখিয়েছে। তারা বক্তৃতা করার জন্য মঞ্চে যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়া বা জামায়াত কাউকেই ডাকেনি। এক্ষেত্রে তারা একটি ভারসাম্য বজায় রাখছে।
পাঁচ
রবিবারের জনসভার ম্যাসেজ কী? বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে? একথা বলার সময় এখনো আসেনি। তাই নেতারাও ঐভাবে কোনো ঘোষণা দেননি। রবিবারের ম্যাসেজ হলো এই যে, বিএনপি ঘর থেকে বের হলো। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে তার যাত্রা শুরু হলো। এই যাত্রা কি শান্তিপূর্ণ হবে, নাকি গোলযোগপূর্ণ হবে, সেটি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। নির্বাচনের আর সর্বোচ্চ সোয়া তিন মাস বাকি আছে। সরকার যদি ভায়োলেন্স করে তাহলে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। বিএনপির এই পথযাত্রার পরিণতি হতে পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ। আর সরকার যদি দমননীতি এবং ভায়োলেন্সের মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে আসার পথ বন্ধ করে দেয় তাহলে বিএনপি এবং ২০ দল অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেক্ষেত্রে যুক্তফ্রন্ট এবং ঐক্য প্রক্রিয়া কি করবে বা কোন অবস্থান গ্রহণ করবে সেটি আমি এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছি না। কারণ, ড. কামাল হোসেন দেশের বাইরে। আর বি চৌধুরী তো তার ছেলের হাতে ঝোল খান।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।