পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খুজিস্তানে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট একটি বিদেশি সরকারকে দায়ী করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তিনি বলেন, জনগণের সুরক্ষায় ইরান দ্রুত ও চূড়ান্তভাবে হামলার জবাব দেবে। শনিবারের এ হামলায় ১১ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০জনের বেশি। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে। টুইটারে এক পোস্টে জাভেদ জারিফ বলেন, আহভাজে হামলা চালাতে একটি বিদেশি সরকার সন্ত্রাসী সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ দিয়েছে। তিনি বলেন, আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক ও তাদের মার্কিন প্রভূ এ হামলার জন্য দায়ী। সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, দুই অস্ত্রধারী এ হামলা চালিয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক নারী ও শিশু রয়েছে। দেশটির আধা সরকারি ফারস নিউজ জানায়, বিপুল দর্শকদের ভিড়ে দুই ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিকে হামলার চেষ্টা চালালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তারা নিহত হন। ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ঘনিষ্ঠ ফারস নিউজ জানায়, মোটরসাইকেলযোগে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তি এসে হামলা চালায়। ইরাক-ইরান যুদ্ধের শুরুর দিনটির স্মরণে দেশটির বিভিন্ন শহরে এ কুচকাওয়াজ হচ্ছিল। ১৯৮০ সালে শুরু হয়ে পরবর্তী আট বছর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে এ যুদ্ধ চলে। ইরাকের নৃতাত্তি¡ক কুর্দিশ অঞ্চল বরাবর সামরিক টহলে কুরিশ বিদ্রোহীদের হামলা নিয়মিতই ঘটছে। তবে একটি বড় শহরে সামরিক কুচকাওয়াজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।