পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে আবারো ঘটেছে এক হৃদয় বিদারক ধর্ষণ, হত্যা ও চোখ তুলে নেয়ার ঘটনা। বরমুলার এসপি ইমতিয়াজ হোসেন মীর বলেছেন, ২৩ আগস্ট ৯ বছর বয়সী ওই বালিকা নিখোঁজ হয়। উরিতে বসবাসকারী তার পিতা এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় ওই বালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তুলে নেয়া হয়েছে চোখ। এ ঘটনায় তার সৎমা, সৎভাইসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, পাশের এক জঙ্গল থেকে ওই বালিকার পচন ধরা দেহাবশেষ রোববার উদ্ধার করা হয়। দৃশ্যত এটি একটি হত্যা ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। নিহত শিশুর সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া গেছে গা শিউরে উঠার মতো ঘটনা। সৎমা দীর্ঘদিন ধরে ওই শিশুটির মা ও শিশুটির ভাইবোনের সঙ্গে হিংসা পোষণ করে আসছিল। শিশুটির মা তার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া সৎমা বলেছে, তার স্বামী বেশির ভাগ সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কাটাতো। আর ওই শিশুটি ছিল তার সবচেয়ে প্রিয়। তাই ওই মেয়ে শিশুটিকে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা করে সে। ঘটনার দিন সে একটি ধারালো ছুরি হাতে নেয় এবং ওই শিশুটিকে ডেকে নেয় জঙ্গলের পাশে। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেয় তার ১৪ বছরের ছেলে ও তার বন্ধুরা। জঙ্গলের কাছে নেয়ার পর ওই শিশুটিকে তার সৎমার উপস্থিতিতে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর শিশুটিকে গলা কেটে ফেলে তার সৎমা। এ ঘটনার পর শিশুটির সৎভাই একটি কুঠার দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আরেক অভিযুক্ত ধারালো ছুরি দিয়ে তার চোখ তুলে নেয়। শরীরে ছিটিয়ে দেয় এসিড। শিশুটির শারীরিক অবস্থা ও প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্টে এসব সত্য বেরিয়ে এসেছে। এসপি ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, হত্যার পর শিশুটির লাশ জঙ্গলের মধ্যে খরকুটো ও পাইন গাছের ডালপালা দিয়ে ঢেকে রাখে অভিযুক্তরা। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।