পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিশ্বের ছয় পরাশক্তি দেশের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি বাতিল করতে ইরান প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাকি ইউরোপীয় দেশগুলো চুক্তির শর্ত পূরণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এখন সেসব নিষেধাজ্ঞাই আবার আরোপ করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তেহরানের বিরোধ বেড়েছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেছেন, পরমাণু চুক্তি ও অর্থনৈতিক ব্যাপারে ইউরোপের ওপর আশা করে লাভ নেই। তিনি বলেন ‘পরমাণু চুক্তির একটা অর্থ আছে, আমাদের জাতীয় স্বার্থ আছে। আমরা যদি দেখি যে আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। তবে আমরা এটা ত্যাগ করবো।’ খামেনি আরও বলেন, ‘অভদ্র ও বিতর্কিত’ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনও নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন না তিনি। প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীদের তিনি বলেন, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ও আলোচনায় কোনো সমস্যা নেই। অবশ্যই তাদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে পরমাণু সমঝোতা ও অর্থনীতির মতো ইস্যুতে তাদের কাছ থেকে কোনো কিছুই আশা করা যায় না। তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।