পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি ও সান্তাহারে কোরবানীর পশুর চামড়ার বাজারে মারাত্মক ধস নেমেছে। চামড়ার দাম নিয়ে আগে থেকেই চলছিল নানা গুঞ্জন। এবার লোকসানের ভয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী কম থাকায় অসাধু ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখার কারনে এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যাবসায়ীদের মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়েছে। আবার অনেক ক্ষুদে ব্যাবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অসাধু চামড়া ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারনে পুরো বাজার চলে যায় তাদের নিয়ন্ত্রনে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবার সরকারের নির্ধারিত মূল্য হিসাবে চামড়া কিনেও তাদের লোকশান গুনতে হয়েছে। উপজেলার স্থানীয় পাইকারী আড়ৎদারেরা এবং মজুতকারীরা সরকারী নিয়মনীতি না মেনে তারা তাদের ইচ্ছেমত দামে চামড়া কিনেছেন। এ সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়রিা অল্পদামে চামড়া কিনে মজুদ করেছে। ধারনা করা হচ্ছে মজুদ চামড়াগুলো ভারতে পাচার করে মোট অংকের টাকা লাভ করার আশায় সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা ব্যাপক চামড়া ক্রয় করেছে বলে অনেকে ধারনা করেছে।
উপজেলার মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এখনকার আড়ৎদারেরা পরিকল্পিত ভাবে চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রন করার কারনে তারা লোকশানের মুখে পড়েছেন। তারা বলেন যে চামড়া সরকার নির্ধারিত মূল্য মোতাবেক গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১২শ’ টাকা এর চেয়ে বেশী দাম হওয়ার কথা। কিšুÍ অসাধু চামড়া ব্যাবসায়াীরা সিন্ডিকেট করার কারনে পুরো বাজার চলে যায় সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে। এ কারনে পনরো থেকে দুই হাজার টাকার বড় ষাড় গরুর চামড়া মাত্র ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়, গাভির চামড়া ১শ’ থেকে দুইশো টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। এছাড়া খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র বিশ টাকায়। ছোট খাট খাসির চামড়া বিক্রি না হওয়ায় ক্ষেভে অনেকে ফেলে দিয়েছে আবার অনেকে পুতে রেখেছে বলেও মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ী ও ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।