পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চামড়া ব্যবসায়ীরা কোরবানির চামড়ার মূল্য অবিশ্বাস্য পতন ঘটিয়ে এতিম ও দুঃস্থদের হক নষ্ট করা হয়েছে।
এমনটা করে দুনিয়াবী চিন্তায় তারা লাভবান হয়ে এতিম মিসকিনদের ঠকিয়ে তারা সৃষ্টিকর্তার নিকট কী জবাব দেবেন জানি না। চামড়ার দরপতন ঘটানোর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সকলকে এর জবাবদিহি করতে হবে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি গতকাল তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
চামড়ার দরপতন সম্পর্কে তিনি বলেন, এরূপ অসাধু কর্মের মাধ্যমে চামড়া ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা এতিম ও দুঃস্থদের বঞ্চিত করলেন। অথচ চামড়া বিক্রির টাকা দিয়েই কওমী মাদরাসার এতিম ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার খাওয়া-দাওয়ার খরচ চালানো হয়। গত বছরও একইভাবে দরপতন ঘটানো হয়েছিল আর এবার দরপতন ঘটানো হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে। গ্রামাঞ্চলে ২৫/৩০ হাজার টাকার একটি গরুর চামড়ার দর উঠে মাত্র ১০০ টাকা। একটি খাসির বা ছাগলের চামড়ার মূল্য উঠে ২০/২৫ টাকা থেকে ৪০/৫০ টাকা পর্যন্ত। খোদ রাজধানীতে দ্বিতীয় দিনে কোরবানির দিয়ে খাসির চামড়া কোনো স্থানে ময়লা আবর্জনার মধ্যে ফেলে রাখতে দেখা গেছে। এভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দরপতন ঘটনানোর কারণে সারা দেশের হাজার হাজার মাদরাসার কয়েক লাখ এতিম ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া ও খাওয়া থাকার ব্যয় মিটাতে গিযে চরম বিপত্তির মধ্যে পড়বেন মাদরাসার পরিচালনাকারীরা।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়নে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তিনি বলেন, এতিম ও দুঃস্থদের স্বার্থরক্ষায় বারবার চামড়ার দর পতন ঘটানোর ফলে মাদরাসা শিক্ষা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। জরুরি ভিত্তিতে এর সমাধান দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।