বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর মহাখালী কড়াইল বস্তিতে ধ‚মপানে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে আহত তারিকুল ইসলাম (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০১ নম্বার ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। আর মোহাম্মদপুরে পুলপাড় পাবনা হাউজিং গলিতে ছুরিকাঘাতে আহত আলীম (১৭) নামে অপর কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামলির একটি হাসপাতারে মারা যান।
হাসপাতালে নিহতের বাবা রিয়াজ উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলো তারেক ও তার বন্ধু হেলাল। নামাজ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা দেখেন, মসজিদের দানবাক্সে হেলান দিয়ে এক যুবক ধ‚মপান করছে। তারেক তাকে ধমক দিয়ে সেখান থেকে সড়ে যেতে বললে ওই ছেলেটি তার সাথে তর্ক করতে থাকে। এতে রাগান্বিত হয়ে তারেক তাকে একটি থাপ্পর দেন। এসময় আশেপাশের লোকজন এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে ওই যুবক ১০-১২ জনকে নিয়ে এসে তারেককে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সঙ্গে থাকা হেলালও ছুরিকাঘাতে আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ২ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তারেকের মৃত্যু হয়। আর আহত হেলাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বরিশাল গৌরনদী উপজেলার মো. রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তারেক। স্ত্রী সুখি আক্তারসহ পরিবার নিয়ে কড়াইল বস্তির সোহরাবের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে হেলপার হিসেবে চাকরী করতেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলপাড় পাবনা হাউজিং গলিতে ছুরিকাঘাতে আহত আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামলির কেয়ার হাসপাতালে রোববার দুপুরের দিকে আলিম মারা যান। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম (১৬) নামে অপর এক কিশোর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢামেক থেকে আলিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার, সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আলীম ও রাকিবুল আরেক বন্ধু সোহাগ মিলে বাসার সামনে বাবরি মসজিদ গলিতে যায় ঘুরতে। সেখানে একই এলাকার মেহেদী, আরমান, শাওন সহ ৮-১০ জন কিশোর আলীম ও রাকিবুলকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বন্ধুরা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে আহত রাকিব জানান, ৩ দিন আগে ওই কিশোরদের সাথে তাদের গলির কিছু ছেলেদের ঝগড়া বাধে। তার জের ধরেই গতকাল আলীম ও রাকিবুলকে ছুরিকাঘাত করে। তারা ২ জন ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন। থাকে পাবনা হাউজিং গলিতে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর আলিমের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুলিশ কাজ করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।