Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামের নাগরিকত্ববঞ্চিত মুসলমানদের কি হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ভারতের আসাম সরকার প্রণীত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস) প্রকাশিত হয়েছে গত ৩০ জুলাই। এনআরসি’র জন্য জমা পড়া ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬৭ জনের নাম। তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম, যারা সকলেই বাংলাভাষী এবং অধিকাংশই মুসলমান। তারা সেখানে অবৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের আগে যারা নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে পারেনি, তাদেরকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই ৪০ লাখ মানুষের অধিকাংশই আবার নারী ও শিশু। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল তালিকা প্রকাশের পর পরই জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উক্ত তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আসাম তার শান্তি ও স¤প্রীতির ঐতিহ্য এখনও বজায় রাখবে বলেই তিনি আশাবাদী। জাতীয় পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘কেউ যদি ঠিকমতো কাগজপত্র না-দিতে পারেন তারা আবার সেই সুযোগ পাবেন, এমন কি চূড়ান্ত তালিকাতে নাম না-থাকলেও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। আর এর মাঝে তাদের ভয়-ভীতি দেখানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’ কিন্তু তাদের কথায় নাগরিকত্বহীনরা আশ্বস্ত হতে পারছে না। তারা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে নিপতিত হয়েছে। এমনকি সমগ্র ভারতেও ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সর্বোপরি সমগ্র মুসলিম জাহানের মধ্যেও চরম উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্রই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আসামের মুসলমানদেরও কি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ন্যায় পরিণতি হচ্ছে? তারা কি পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই নেবে? নাকি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে জীবন বাঁচানোর জন্য? নাকি জন্মভূমিতেই থেকে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করবে? যদি তাই হয়, তাহলে তো কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যাবে আসামে! স্মরণীয় যে, আসামে যখন এই নাগরিক তালিকা প্রণয়ন করা শুরু হয়, তখন ‘আসাম থেকে মুসলমান বিতাড়ণ ভয়াবহ হতে পারে’ শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে এক নিবন্ধে বলেছিলাম, আসামে প্রায় এক কোটি মুসলমান অবৈধ হতে চলেছে। সে সময় অনুরূপ খবরই প্রকাশিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। সর্বোপরি আসামে বাঙ্গালী খেদাও আন্দোলন দীর্ঘদিনের। আর এ নিয়ে অহমী ও বাঙ্গালীদের মধ্যে বহুবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত কত যে প্রাণহানি ঘটেছে, কত যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই। এক তথ্য মতে, আসামের মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ২০ লাখ। এসব অধিবাসীর মধ্যে রয়েছে বাঙালি, অসমীয়াভাষী হিন্দু এবং বহু নৃতাত্তি¡ক গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে। তবে এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পর এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস। এদের অনেকেই তাদের অভিবাসী পূর্বপুরুষদের সূত্র ধরে ব্রিটিশ শাসনের সময় এখানে স্থায়ী হয়েছে। তবুও এখানে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী বলে বাঙ্গালী খেদাও আন্দোলন হয় প্রায়ই। এই অবস্থায় প্রায় ছয় বছর ধরে চলা এক আন্দোলনের পর প্রতিবাদকারীদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি চুক্তি হয় ১৯৮৫ সালে। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর যারা কাগজপত্র ছাড়া আসামে প্রবেশ করেছে তাদেরকে বিদেশি বলে বিবেচনা করা হবে। এই অবস্থায় গত রাজ্য সভার নির্বাচনকালে বিজেপি নেতা মোদী বলেছিলেন, অবৈধ মুসলিম অভিবাসীদের এই রাজ্য থেকে বের করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছে এবং এনআরসি প্রণয়ন করেছে।
যা’হোক, আসামে ৪০ লাখ বাঙ্গালী অবৈধ হওয়ার ব্যাপারে স¤প্রতি বিবিসির বাংলার খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যখন সারা বিশ্বের প্রায় দশ কোটি রাষ্ট্রহীন মানুষের সঙ্কটের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে তখন আসামে নতুন করে এই ৪০ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন যেমন অবৈধ অভিবাসী পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানদের আলাদা করে অন্য জায়গায় রেখেছিল তেমন ঘটনা ঘটেছে আসামেও। উক্ত খবরে আরও বলা হয়েছে, ভারতের এক সিনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, এনআরসি তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের কোন ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না। নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্যে তাদের আরও একবার শেষ সুযোগ দেওয়া হবে। একই সাথে সরকার বড় আকারের একটি ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা করছে। শেষ পর্যন্ত যারা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবে না তাদের রাখা হবে এই ক্যাম্পে। আসামের বিশ্লেষক সুবীর ভৌমিক বলছেন, ৪০ লাখ মানুষকে অবৈধ ঘোষণা করার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে তৈরি হবে আতঙ্ক। বাংলাদেশও নতুন শরণার্থীর আশঙ্কা করতে পারে। ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো জয়িতা ভট্টাচার্য বলেছেন, ভারত চাইলেই এতগুলো মানুষকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারবে না। কারণ এর লম্বা আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এ প্রক্রিয়া অনেক লম্বা। প্রথমে এনিয়ে আপিল হবে। বুরোক্র্যাটিক সমস্যার কারণেও অনেকের নাম কাটা পড়েছে। তাদের বিষয়টা দেখা হবে। তারপরে ফরেনার ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। সুপ্রিম কোর্টসহ অনেক কানুনী প্রক্রিয়া আছে। অপরদিকে, এ তালিকা নিয়ে মহাহযবরল সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। কারণ, বহু পরিবারের অর্ধেক তালিকাভুক্ত হয়েছে, বাকীরা হতে পারেনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের লোকজন পর্যন্ত নাগরিক তালিকায় ঠাঁই পায়নি বলে জানা গেছে। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র এমপি কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৩১ জুলাই বিবিসিকে বলছেন, ভারতের মাটিতে ওভাবে বিদেশি শনাক্ত করা যায় বলে তারা বিশ্বাস করেন না। কারণ, ‘হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের একটা ঐতিহ্য হলো বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষকে এদেশে আশ্রয় দেওয়া। আমরা অতিথিকে সম্মান করি, বলি অতিথি দেবো ভব। আমাদের স্বাধীন দেশেও নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হয়েছে, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হয়েছে। আর পার্টিশনের আগে এই সব দেশ তো একটাই ভারত ছিল। এই পটভূমিতে আপনি দুম করে কোন মানদন্ডের ভিত্তিতে বলেন যে, কয়েক লক্ষ লোক আমাদের দেশের নাগরিক নন?’
অপরদিকে, এনআরসি নিয়ে ভারতের রাজনীতি চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ৩০ জুলাই এক সাংবাদিক সম্মেলন বলেছেন, আসামের বাঙালি খেদাও চলছে। ওরা রোহিঙ্গা নন। দেশের মধ্যেই ওরা উদ্বাস্তু হয়ে পড়বেন। যদি পুশব্যাক হয়, অর্থাৎ বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ যদি তাদের না নেয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে? ৪০ লাখ মানুষকে দেশের মধ্যেই উদ্বাস্তু করে দেওয়া হলো। বিজেপি রাজনৈতিক খেলা খেলছে। বাঙালি খেদাও, বিহারি খেদাও শুরু করেছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্তে¡ও রাতারাতি বলে দেওয়া হচ্ছে তুমি বিদেশি। এটা ভয়াবহ। মানুষ খুব অসহায়। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে কিছু ভেবেছে দিল্লি? ডিভাইড অ্যান্ড রুল করে মানবতা ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় আসামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সেখানে অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। ‘আসামের এই উচ্ছেদের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপরেও পড়বে। ৩১ জুলাই এনআরসি নিয়ে বাগবিতÐার জেরে এদিন মুলতুবি হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিনে একই ঘটনা ঘটেছে সংসদের উচ্চ-কক্ষ রাজ্যসভায়ও। সেখানে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ তার ভাষণে বলেন, ‘সকলেই ৪০ লাখ, ৪০ লাখের দোহাই দিচ্ছেন। আমি জানতে চাই এই ৪০ লাখের মধ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কত? আপনারা কাদের বাঁচাতে চাচ্ছেন? আপনারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চাচ্ছেন?’ প্রতিত্তোরে বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেসের সিনিয়র এমপি গুলাম-নবী আজাদ বলেন, ‘আমাদের কোনও নাগরিককে জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে বের করে দেয়া উচিত নয়। এটা মানবাধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়। এনআরসি’কে রাজনীতিকরণ ও ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা হিন্দু-মুসলিমের বিষয় নয়।’ এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিতে পারেননি। ফলে চেয়ারম্যান এম বেঙ্কইয়া নাইডু বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
আসামের ৪০ লাখ মানুষকে নাগরিকত্বহীন করার খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। সে তুলনায় বাংলাদেশে এর প্রচার খুব কম। এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনেও কোন উচ্চ বাচ্য নেই। সরকারের তরফ থেকে আগে বলা হয়েছিল, বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া ৩১ জুলাই বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘এটি বাংলাদেশের ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই ক্ষেত্র ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। আমাদের হাইকমিশনার বলছেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু এই ৪০ লাখ লোকের সবাই না হোক, কয়েক লাখ লোককেও যদি বাংলাদেশের ঢুকে যেতে বাধ্য করা হয়- তখন কি সেটি আর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকবে? সেটি বাংলাদেশের ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে’। অপরদিকে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুনিরুজ্জামানের অভিমত হচ্ছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেভাবে কালক্ষেপণ করেছে, তা থেকে বাংলাদেশকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এখনই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সাথে কথা বলতে হবে। দুটো কারণে আমাদের জন্য বিষয়টিতে বড় উদ্বেগের কারণ থাকবে। বাংলাদেশে যদি আবার একটা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেটার জন্য আমরা কোনভাবেই প্রস্তুত নই। আমাদের এখনই এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে। ভারত সরকারকে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে যে কালক্ষেপণ হয়েছে, আর আমরা ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনুধাবন করার ক্ষেত্রে আমরা যে দূরদৃষ্টি দেখাতে পারি নাই, সেটা যাতে এই ক্ষেত্রে না হয় সে ব্যাপারে আমি সকলকে সতর্ক করছি। স্মরণীয় যে, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি প্রথমদিকে দেশবাসীর কাছে ইতিবাচক ছিল। তাই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তব বড় নিষ্ঠুর। তাই দিন যতই যাচ্ছে, ততই বিষয়টি নেতিবাচক হয়ে উঠছে দেশবাসীর কাছে। কারণ, রোহিঙ্গাদের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পক্ষে আর্থিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা দূরহ হয়ে পড়বে। সে অবস্থায় আসামের নাগরিকত্বহীন মানুষরা যদি এসে আমাদের দেশে প্রবেশ করে তাহলে তা আমাদের পক্ষে মোকাবিলা করা অসম্ভব। তারা সংখ্যায় রোহিঙ্গাদের প্রায় চার গুণ বেশি। তারা যদি বাংলাদেশে এসে ঢুকে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওযা মোটেও সম্ভব হবে না। তাই এই ব্যাপারে আমাদের সাবধান হওয়া উচিৎ এখনই। উল্লেখ্য যে, হায়দ্রাবাদের বিজেপি নেতা রাজা সিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা ভারতের জন্য বিপজ্জনক। তারা যদি স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ না করে, তাদের গুলি করা উচিত। এ-মানসিকতা শুধু রাজা সিং এর একার নয়, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সকলেরই। যার জ্বলন্ত প্রমাণ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাবেক নেতা তোগাড়িয়ার মন্তব্য। তিনি গত ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসামের সুমলমানরা অনুপ্রবেশকারী। তারা বাংলাদেশে থেকে এসেছে। সেখানেই তাদেরকে পাঠাতে হবে। সেরূপ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে এখনই দেশ-বিদেশে প্রচেষ্টা চালানো দরকার। কারণ, তারা একবার এ দেশে প্রবেশ করলে কিন্তু মানবিক বিষয়টি এসে যাবে। তখন তাড়ানো সম্ভব হবে না।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাগরিকত্ব


আরও
আরও পড়ুন