পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি ভারতে এনআরসি তথা নাগরিকত্ব আইন চালু করার নিন্দা জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ)। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের এ আইনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এক বিবৃতিতে বিজেপি সরকারের এই আইনের তীব্র নিন্দা জানান। গতকাল দলটির দফতর সম্পাদক ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাসদ নেতারা বলেন, আমরা বিস্মিত হয়েছি যে, ভারত তার দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র থেকে সরে এসে কয়েক দিন আগে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক নাগরিক আইন চালু করেছে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করে এদেশকে শাসন করেছে। ১৯৪৭ সালে ভারত ত্যাগে বাধ্য হবার সময় সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগে উৎসাহিত করে। মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক নেতৃত্বক্ষুদ্রগোষ্ঠী স্বার্থে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ধর্মীয় রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের মানুষ সে দ্বিজাতি তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
নেতারা আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের প্রত্যাখ্যাত দ্বিজাতি তত্ত্বকে কবর থেকে তুলে এনে ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাকে আবার অধিষ্ঠান করতে চাইছে এনআরসির নামে। ভারতের এ সিদ্ধান্ত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উসকে দিয়ে এ উপমহাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নতুন উপাদান যোগ করবে।
আমরা আশা করব, ভারতের জনগণ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত এ আইনকে প্রত্যাখ্যান করবেন। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এ আইনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।