বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এবছরেও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কলেজগুলিতে নজীরবিহীন বিপর্যয় ঘটেছে। শিক্ষা বোর্ডের ঘোষিত ফলাফল ৬৬ দশমিক ৫১ ভাগ হলেও গোদাগাড়ীর সকল কলেজ এ ফলাফলের তলানীতে অবস্থান করছে। প্রধান কারণ হিসেবে কলেজ শিক্ষকদের কথিত অফ ডে দায়ী করেছেন অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সচেতন মহল। গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১১৫ জন, পাসের হার ৫৭ দশমিক ৫০ ভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ৭০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৫ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। মানবিক বিভাগে ১২১ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬৪ পাস করেছে, ফেল করেছে ৫৭ জন, বানিজ্য বিভাগে ১৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৭ জন। চব্বিশ নগর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে থেকে ২১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ১১০ জন পাস করেছে পাসের হার ৫১ দশমিক ৪০ ভাগ। কেউ জিপিএ-৫ পাইনি। বিজ্ঞান বিভাগে ২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৩ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৬ জন, মানবিক বিভাগে ১৬৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭১ পাস করেছে, ফেল করেছে ৯৫ জন, বানিজ্য বিভাগে ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৬ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৫ জন । গোদাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে কলেজ থেকে ১৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৭ জন পাস করেছে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৪৯ ভাগ। কেউ জিপিএ-৫ পাইনি। বিজ্ঞান বিভাগে ৫৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩০ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২৩ জন, মানবিক বিভাগে ১১৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৭ পাস করেছে, ফেল করেছে ৬৯ জন, বানিজ্য বিভাগে ৩১ জন পরীক্ষা দিয়ে ২০ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ১১ । গোগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫১ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৪ জন পাস করেছে, ফেল করেছে, ২৭ জন ফেল করেছে, পাসের হার ৪৭ দশমিক ০৮ ভাগ।
বিশ্বনাথপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪০ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৮ জন পাস করেছে, পাসের হার। ৪৫ দশমিক ০ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৩৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ১৬ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ১৯ জন, বানিজ্য বিভাগে ২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১ জন, ফেল করেছে ১ জন। জাতীয় করণ ঘোষিত জাতীয় করণ ঘোষিত গোদাগাড়ী উপজেলা সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ গোদাগাড়ী কলেজ থেকে ৩৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৪৩ জন। পাসের হার ৪১ দশমিক ৬৯ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে ৭৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৪ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ৪১ জন, মানবিক বিভাগে ২১৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ৮৪ পাস করেছে, ফেল করেছে ১৩০ জন, বানিজ্য বিভাগে ৫৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ৩১ জন মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৯ জন। পাসের হার ২৮ দশমিক ৮২ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে ২৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ০৪ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২১ জন, মানবিক বিভাগে ১১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৩ পাস করেছে, ফেল করেছে ৮৪ জন, বানিজ্য বিভাগে ৩৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২২ জন।
প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২৭০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৫ জন পাস করেছে পাসের হার ৩৫ দশমিক ১৯ ভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে ৪০ জন পরীক্ষা দিয়ে ২১ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ১৯ জন, মানবিক বিভাগে ১৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৪ পাস করেছে, ফেল করেছে ১০৯ জন, বানিজ্য বিভাগে ৯০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪০ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ৫০ জন। কাঁকনহাট ডিগ্রী কলেজ থেকে থেকে কলেজ থেকে ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ১১৫ জন পাস করেছে পাসের হার ৪৬ দশমিক ৫৬ ভাগ। কেউ জিপিএ-৫ পাইনি। বিজ্ঞান বিভাগে ৩৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৬ জন, মানবিক বিভাগে ১৮৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৮৩জন পাস করেছে, ফেল করেছে ১০৬ জন, বানিজ্য বিভাগে ৩৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২১ জন । গুলগফুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৬ জন, পাসের হার ৪৭ দশমিক ৪৬ ভাগ। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। বিজ্ঞান বিভাগে ১০ জন পরীক্ষা দিয়ে ০৫ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৫ জন, মানবিক বিভাগে ১০৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫১ পাস করেছে, ফেল করেছে ৫৭ জন । রাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৯৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৭৭ জন পসের হার ৩৯ দশমিক ৯০ ভাগ।বিজ্ঞান বিভাগে ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে ০৪ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ০৭ জন, মানবিক বিভাগে ১৫০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৬৪ পাস করেছে, ফেল করেছে ৮৬ জন, বানিজ্য বিভাগে ৩৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ০৯ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ২৬ জন।
পলপুর ধরমপুর কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ৭১ জন পাস করেছে ৩৯। পাসের হার ৫৪ দশমিক ৯৩ ভাগ। বানিজ্য বিভাগে ০৪ চার জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ০৪ জন ফেল করেছে ০০ জন। মানবিক বিভাগে ৬৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৩ জন পাস করেছে, ফেল করেছে ৩২ জন। বিজ্ঞান বিভাগে ৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১জন ফেল করেছে ২ জন। পাকড়ী মহাবিদ্যালয়ে ৯২ জন পরীক্ষা দিয়ে ১ জন জিপিএ-৫সহ ৪৬ জন পাস করেছে, ফেল করেছে, ৪৬ জন ফেল করেছে পাসের হার ৫০ দশমিক শূন্য ভাগ ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শামসুল কবীর বলেন, কলেজ শিক্ষকদের কথিত অফ ডে বাতিল করতে হবে। কোচিং প্রাইভেট বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কলেজ মূখী করতে হবে, ৬ ঘন্টা পাঠদান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ভাল হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কলেজ শিক্ষকদের অফ ডের প্রবনতা আছে, আমার অধীনে ৫ হাজার কলেজ রয়েছে দেখভাল করা কঠিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, একাডেমিক সুপাভাইজারগণ আছেন তারা দেখভাল করেন। তদন্ত করা হবে যারা এ কথিত অফ ডের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। গোদাগাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের অফ ডে কোন সরকারী বিধান নেই, প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকা সরকারী বিধান। অন্যান্য কলেজ শিক্ষকদের অফ ডে দেন তাই আমাকেও শিক্ষকদের চাপে মূখে অফ ডে দিতে হয় এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ক্ষতি হয়। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়ে,ফলাফল খারাপ হয়।। প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষ মনিটারিং জোরদার করলে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ভাল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।