পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1722037479](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ এবং মুসলমান ও ধর্মীয় উৎসবকে হেয় করার ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্নপত্রে যেভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে, তাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে উস্কানিদাতাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক যে কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়ত এই প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন, সেটি তারও দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে কোনোভাবে। আমরা চিহ্নিত করছি, এই প্রশ্ন সেট এবং মডারেট করেছেন কে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।
গত রোববার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের সৃজনশীল প্রশ্নের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়। তাতে দেখানো হয়েছে, ছোট ভাই বিরোধের জেরে বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে একজন মুসলিম ব্যক্তির কাছে জমির একাংশ বিক্রি করে দেন। জমি কেনা ব্যক্তি সেই জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতা ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।
দীপু মনি বলছেন, কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্ন করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে শিক্ষকদের। সাম্প্রদায়িকতার কিছু যেন না থাকে, সেটাও সেই নির্দেশিকায় আছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই বাংলাদেশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির কোনো কিছু থাকলে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, যারা চিহ্নিত হবেন এবং যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে এই ধরনের বীজ বপন করবেন, তাদের এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত রাখার প্রশ্ন আসবে না। এইচএসসির প্রথম দিন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি’র একাদশ (বিএমটি) বাংলা-১ বিষয়ের পরীক্ষা ভুল প্রশ্নের কারণে স্থগিত করতে হয়। নতুন-পুরাতন সিলেবাস গুলিয়ে ফেলায় ওই ভুল হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেটা শিক্ষাবোর্ড করেছে বলে আমাদের এখনও মনে হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে যে, প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে, ছাপা হওয়ার ক্ষেত্রে একটা ত্রুটি থেকে যেতে পারে। আরেকটি হচ্ছে ছাপা হওয়ার পরে প্যাকেজিং। সেইসব কোনো এক ক্ষেত্রে ত্রুটি ঘটেছে।
মন্ত্রী বলেন, মুশকিল হল, প্রশ্ন সেটিং প্রশ্ন মডারেটিং, এই কাজগুলো এমনভাবে হয় যে, যিনি প্রশ্ন সেট করে যান, তিনি আর প্রশ্ন দেখতে পারেন না। তারপর যিনি প্রশ্ন মডারেট করে যান, তিনিও প্রশ্ন দেখতে পারেন না। এই সেটার ও মডারেটর ছাড়া প্রশ্নের একটা অক্ষর কারও দেখবার কোনো সুযোগ থাকে না।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।