পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিতর্কিত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার যাচাইকারীকে (মডারেটর) চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক। অভিযোগ ওঠে, বাংলা প্রথম পত্রের ওই প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে খুঁজে বের করার কাজে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রশ্নপত্রটির প্রণেতা (সেটার) ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। প্রশ্নপত্রটির পরিশোধনকারীরা (মডারেটর) হলেন- নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ম. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নে বাংলা প্রথম পত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি উদ্দীপক ব্যবহার করা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এরপর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানি গ্রহণযোগ্য নয়। জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, প্রশ্নটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রণয়ন হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যশোর শিক্ষা বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষকদের শোকজ করবে। এরপর এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও যাচাইকারী চিহ্নিত করার পর গতকাল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। কমিটিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে আহ্বায়ক ও উপ-কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাস এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও যাচাইকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে জানানো হয়েছে। এমন বিতর্কিত প্রশ্নপত্র কেন প্রণয়ন করা হলো, তা তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ওই প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী এবং চারজন মডারেটর সবাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।