Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাস থেকে নামতে গিয়ে যাত্রীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর তোপখানা সড়কে চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে আব্দুল মতিন (৫৫) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেলে তোপখানা সড়কের ফারিস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুল মতিন পরিবারের সঙ্গে উত্তর বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। তিন কাঠের ব্যবসা করতেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মালিবাগে লিফটের চাপায় সৌরভ হোসেন (১৮) ও দক্ষিণ গোড়ানে ঘুমের ওষুধ খেয়ে সোহরাব হোসেন (৩৫) নামে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাসের যাত্রী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, গতকাল সকালের দিকে সদরঘাটগামী একটি বাসে করে তারা মিরপুর থেকে তারা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বাসটি তোপখানা সড়ক অতিক্রম করার সময় ওই আব্দুল মতিন নামতে চান। তখন বাসের চালক বাসটি না থামিয়ে সামনে এগিয়ে যান। এ সময় মতিন দ্রæত নামতে গেলে রাস্তায় পড়ে যান। এতে তার মাথায় ও কানে গুরুতর আঘাত পান। তার নাক ও কান থেকে রক্ত বের হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেগুনবাগিচা এলাকার বারডেম-২ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মতিনের ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম জানান, তার ফোনে তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখতে পান। নিহত মতিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি উত্তর বাড্ডা এলাকায় সপরিবারে থাকতেন এবং একই এলাকায় কাঠের ব্যবসা করতেন।
শাহবাগ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর পুলিশ বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিাধীন রয়েছে।
সৌরভের সহকর্মী আব্দুল কাদির জানান, সৌরভ মালিবাগ আবাসিক এলাকার ২২২ কাজী ভবনে থাকতেন এবং ভবনের বৈদ্যুতিক কাজ করতেন। গতকাল বেলা ১২টার দিকে ভবনের লিফট দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে নামার সময় ৬ তলায় এসে লিফটি থেমে যায়। তখন লিফট থেকে বের হওয়ার চেষ্ট করলে তিনি তাতে চাপা পড়েন। অনেক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে বের করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোহরাবের ছোট বোন শাহনাজ বেগম জানান, সোহরাব খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান এলকায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গতকাল সকালের দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কাউকে না জানিয়ে ২০/২৫ ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেন তার ভাই। বেলা ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত তিনজনের লাশ ময়ানতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ