Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরায় দশ হাজার টাকায় শিশু খুন

পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার ৩

নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

নরসিংদীর রায়পুরায় দশ হাজার টাকায় জন্য সাত বছরের শিশুকে খুন করা হয়। প্রবাসী সুজন মিয়ার ডিপোজিট করে রাখা টাকার প্রতি লোভ থেকেই তাঁর শিশুপুত্র মামুনকে অপহরণ করা হয়েছিল। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ক্ষোভে সাত বছরের মামুন মিয়া কে দুই দিন অভুক্ত রেখে মুখে স্কচটেপ ও গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়। 

এই পরিকল্পনায় ছিলেন সুজন মিয়ার জেঠাতো ভাই জয়নাল মাস্টার। তিনি তাঁর ছেলে আরমান, নাতি জিদান আর ভাড়া করা সন্ত্রাসী নাসির এর মাধ্যমে এ হত্যাকান্ড বাস্তবায়ন করেন। আর হত্যাকান্ড বাস্তাবায়ন করেত কিলারের সাথে দশ হাজার টাকা রফাদফা হয়। বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ জানায়, রায়পুরা উপজেলার হাসিমপুর এলাকার সুজন মিয়ার ছোট ছেলে মামুন মিয়া গত ২০ জুন বিকেলে বাড়ির সামনের রাস্তায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে দফায় দফায় বিভিন্ন কৌশলে তার পরিবারের নিকট মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ্এরই মধ্যে নিখোঁজের তিনদিন পর প্রতিবেশি জয়নাল মাস্টারের তিন তলা বাড়ির ছাদ থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মামুনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত ভার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। হত্যায় জড়িত সন্দেহে জয়নাল মাস্টার, তার ছেলে আরমানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজনগর এলাকার নাসির মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাসির হত্যাকাÐের দায় স্বীকার করেছেন। একই সাথে হত্যার বিষয়ে বিবরণ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান, গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল গাফফার পি পি এম বলেন, ‘অভিযুক্ত জয়নাল মাস্টার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে মূলত কোনো এজেন্সির হয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করে। নিহত মামুনের বাবা সুজন মিয়াকে জয়নাল মাস্টারই সউদী আরবে পাঠিয়েছিল। সুজন মিয়া বিদেশ থেকে সব টাকা-পয়সা সুজন মিয়ার পরিবারের মাধ্যমে যে পরিমান টাকা দেশে পাঠিয়েছে সেই টাকা সুজনের পরিবার পেয়েছে কিনা তা জয়নাল মাস্টারকে মাঝে মাঝে জানাত সুজনের পরিবার। সুজন মিয়া দেশে ফিরে সব টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখে। সেই টাকার লোভেই নিজের ছেলে আরমান এবং নাতি নরসিংদী মডেল কলেজের শিক্ষার্থী জিদান ও লিমনকে দিয়ে নাসিরকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করে অপহরণ করা হয় শিশু মামুনকে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নাসিরের দেওয়া তথ্যে জয়নাল মাস্টার, আরমান ও নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে জিদান ও লিমন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ