Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনিয়োগ ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দেশের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখা আবশ্যক। নতুবা বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৪ সালে (সরকারের টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যে) দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত করা সম্ভব নয়। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ, এসডিজি বাস্তবায়ন করার জন্য ৯২৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার দরকার, যা জিডিপির ১৯.৭৫% অতিরিক্ত ব্যয় এবং তার ৮০% ব্যয় করতে হবে দেশীয় সম্পদ থেকে। এ জন্য প্রয়োজনীয় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আবশ্যক। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। বরং হ্রাস পাচ্ছে। আঙ্কটাড’র বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন-২০১৮ মতে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ তার আগের বছরের তুলনায় কমেছে ৭.২০%। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ২৩৩ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে তা কমে হয়েছে প্রায় ২১৬ কোটি ডলার। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় বিদেশি বিনিয়োগ টানার শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। গত বছর মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগ ৪৫% বেড়ে হয়েছে ৪৩০ কোটি ডলার, যা এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর যথাক্রমে ইথিওপিয়া, কম্বোডিয়া, মোজাম্বিক ও বাংলাদেশের অবস্থান। অবশ্য এই পাঁচ দেশের মধ্যে মিয়ানমার ও কম্বোডিয়াতে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বাকি তিন দেশেই কমেছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই পাঁচ দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ শুধু আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের চেয়ে এগিয়ে আছে। ২০১৩-১৮ সময়ে মোজাম্বিকের গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.১৪%, আর বাংলাদেশের ৬.৯৩%। আলোচ্য পাঁচ বছরে মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশের ওপরে। আর ইথিওপিয়ার ৮ শতাংশের ওপরে। অপরদিকে, অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের মতে, অবকাঠামো উন্নয়নে ২৫% বিনিয়োগ ঘাটতিতে আছে বাংলাদেশ। আগামীতে এ ঘাটতি আরও বাড়বে। অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমানে যে গতিতে বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ৩১% ঘাটতিতে পড়বে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিযোগাযোগ। এসব অবকাঠামোয় ২০১৬-৪০ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগের বর্তমান ও সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৪০ সাল পর্যন্ত সাতটি খাতের অবকাঠামোয় বাংলাদেশের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে মোট ৬০৮ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে যে হারে এসব খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪১৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এ সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগের ঘাটতি দাঁড়াবে ১৯২ বিলিয়ন ডলার।
দেশীয় বিনিয়োগও আশানুরূপ নয়। কয়েক বছর যাবত একই অবস্থা চলছে। এর হার জিডিপির অনুপাতে কাক্সিক্ষত নয়। স¤প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৮’ মতে, ২০১০-১১ অর্থবছরে স্থানীয় বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এটি বেড়ে ৯৯ হাজার ৬৭২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রæয়ারি) বিনিয়োগের এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ১৯৮ কোটি টাকায়। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা বেশি। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করে এমন কোনো বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি হয়নি যে দেশীয় উদ্যোক্তারা বড় বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিনিয়োগ প্রসঙ্গে যেসব পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে এগুলো সবই নিবন্ধন। এখান থেকে প্রকৃত বিনিয়োগ কতটা হয়েছে তা দেখতে হবে। আর দেশে তেমন কোনো বিনিয়োগ হলে আমরা তো দেখতে পেতাম।’ অর্থাৎ বিভিন্ন কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আশানুরূপ নয়। এছাড়া, ব্যাংকের আমানত কয়েক বছর যাবত হ্রাস পাচ্ছে। এই অবস্থায় আমানতের সুদের হার ৬% করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আমানত সংকটে পড়তে পারে। আর এটা হলে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে, পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে কয়েক বছর আগে, যা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আজও। তাই সেখানে নতুন বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। অপরদিকে কয়েক লাখ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ, যার প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার খেলাপি, ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের মত রেমিটেন্স, পাঁচ থেকে সাত লাখ কোটি কালো টাকা ইত্যাদি যাচ্ছে কোথায়? পাচার হচ্ছে, না ভোগ বিলাসে ব্যয় হচ্ছে? অবশ্য বছরে প্রায় লাখ কোটি টাকার মতো এক যুগ যাবত পাচার হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ। কিন্তু এ পাচার হওয়া ছাড়া বাকী টাকা যাচ্ছে কোথায়? না-কি হিসাবে বড় রকমের গোঁজামিল আছে কোথাও? যা’হোক, প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ না হওয়ায় বেকারত্ব বাড়ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের হার হ্রাস পাচ্ছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি না পাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, দুর্বল অবকাঠামো, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, নিরাপত্তা-হীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ভয়াবহ যানজট, দুর্নীতি ইত্যাদি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে। কিন্তু এর সুফল পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। কারণ, আমলাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই সাথে দুর্নীতিও আছে। আর অবকাঠামোর দুর্বলতা দূর করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ, এর সাথে ব্যাপক অর্থ জড়িত। দ্বিতীয়ত: কাজের মান অতি নিম্ন হওয়ায় একই কাজ বছর বছর করতে হয়। উপরন্তু ব্যয়ও বিশ্বের মধ্য সর্বাধিক। ফলে এর সুফল কম। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটও সহজে দূর হবে বলে মনে হয় না। বিদেশি ঋণ ও অনুদান ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এর পরিমাণ জিডিপির ১% আর এডিপির ২৫% বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিই প্রধান অবলম্বন। আর সে জন্য প্রয়োজন সরকারের আয় বৃদ্ধি।
সরকারি আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে রাজস্ব। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর খাতের আয় ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত রাজস্ব ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, যা বাস্তবায়ন হবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ইতোপূর্বে কোন বছরই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। যেমন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্বআহরণ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯,৬৪৪ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। তন্মধ্যে ভ্যাটে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা, আয়করে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ও বাকি অর্থ আমদানি শুল্ক। কর আদায় কম হওয়ার কারণ হচ্ছে অদক্ষতা, হয়রানি, দুর্নীতি, ফাঁকিবাজি ইত্যাদি। তাই কর আদায় কাক্সিক্ষত নয়। রাজস্ব আদায়ের শীর্ষ খাত ভ্যাট। দ্বিতীয় অবস্থানে আয়কর। কিন্তু ‘ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল সার্ভে অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, আয়করে জিডিপির সঙ্গে অনুপাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে নিচে। অথচ আদর্শ রাজস্ব ব্যবস্থায় আয়করের অবস্থান শীর্ষে থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে ঘাটতি রয়েছে ৭.৫%। জাতীয় রাজস্ব ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুনের হিসাবে বাংলাদেশে ৩৫ লাখ টিন-ধারী থাকলেও আয়কর দিচ্ছেন মাত্র ১৯.৫ লাখ জন। স্মরণীয় যে, দেশে যে ১৯.৫ লাখ মানুষ আয়কর দিচ্ছেন, তার বেশিরভাগই সরকারি চাকরিজীবী। আয়কর না দিলে তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায় তাই বাধ্য হয়েই আয়কর দেন তারা। আর সরকারি চাকরিজীবীর বাইরে আয়কর দাতার সংখ্যা মোট আয়কর দাতার অর্ধেক হতে পারে। তাহলে কি এদেশে সরকারি চাকরিজীবীর বাইরে আয়কর দেয়ার মতো মানুষ নেই? নিশ্চয় আছে। এ ব্যাপারে বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। বলেন, ‘বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা বছরে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। সাধারণ বিবেচনায় বাংলাদেশের কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ আয়কর দেয়ার যোগ্য। কারণ, দেশের মানুষের আয় বাড়ছে।’ সিপিডি’র অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের অভিমত হচ্ছে, দেশে আয়কর দেয়ার যোগ্য অনেক নাগরিকই আয়কর দেন না। আয়কর আদায়ে কর প্রশাসন নির্দিষ্ট কিছু গ্রæপেই সীমাবদ্ধ। দেশে যে আরও সম্ভাবনাময়, আরও নতুন করদাতা গ্রæপ তৈরি হয়েছে, তা তাঁরা খেয়াল করছেন না। এটা করার জন্য যে কাঠামো দরকার তা-ও নেই। নতুন করদাতা খুঁজতে গিয়ে যে পরিমাণ ব্যয় হবে, সেই পরিমাণ রিটার্ন আসবে কিনা তা নিয়েও তাঁদের মধ্যে দ্বিধা-দ্ব›দ্ব আছে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে আয়কর এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও আছে। আইনে ফাঁক আছে। সেই ফাঁককে তারা কাজে লাগান। কিন্তু দেশে এখন বেশ উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তাই মানুষের মধ্যে আয়কর দেয়ার আগ্রহ বাড়ছে। আয়কর মেলাগুলোতে আয়কর দিতে আগ্রহী মানুষও বাড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর দেয়ার জটিলতা এবং হয়রানির আশঙ্কাও নাগরিকদের আয়কর দিতে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু সাধারণভাবে জিডিপির অনুপাতে ৩০ শতাংশ আয়কর থেকে এলে সেটা একটি আদর্শ অবস্থা। অবশ্য ১৫-২০ ভাগকেও ভালো অবস্থা ধরে নেয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এই অনুপাত ১০ ভাগেরও কম।’ অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ‘রাজস্ব আয় বাড়াতে উপজেলা পর্যায়ে আরও ১০৩টি আয়কর অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ উৎস থেকে মোট রাজস্বের ৩৭% আসে। এ হারকে ২০২০-২১ সালে মোট রাজস্বের ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে কর জিডিপির ১৫.৩ শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. বারাকাত কিছুদিন আগে এক সেমিনারে বলেছেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যানিক অর্থনীতি যাই বলুক না কেন, গবেষণায় বলা হয়েছে, আমাদের দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে দারিদ্র্যের বহুমুখী মানদÐে ১০ কোটি ৫৫ লাখ মানুষই দারিদ্র্য-বঞ্চিত, ৫ কোটি ১ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত, আর অবশিষ্ট ৪৪ লাখ মানুষ ধনী। বিগত ৩০ বছরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ।’ অর্থাৎ নানা বিশ্লেষণে অনুমেয় দেশে কর দেওয়ার মতো মানুষের সংখ্যা কোটির অধিক।
উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কর আদায়ের টার্গেট পূরণ করতে হবে। সে লক্ষ্যে প্রত্যেক বাসা/ফ্ল্যাট এবং বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টিন নম্বর টাঙ্গিয়ে রাখা ও প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ চালু করা বাধ্যতামূলক করা হলে এবং গ্রামের সব বড় বড় কৃষক, করযোগ্য বেসরকারি চাকরিজীবী ও পেশাজীবীকে আয়করের আওতায় আনতে পারলে আয়কর ও ভ্যাট দাতার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে কর আদায়ের টার্গেট পূরণ হতে পারে। অপরদিকে, কর আদায় বৃদ্ধির জন্য কর ফাঁকির ফাঁক-ফোকর বন্ধ, ফাঁকিবাজ ও দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা এবং এ বিষয়ে মামলা দ্রæত নিষ্পত্তি এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজতর করা দরকার। কয়েক পাতার ফর্মের স্থলে মাত্র ২/১ পাতার ফর্ম করা প্রয়োজন। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। নতুবা উন্নতির ধারা বাধাগ্রস্ত হবে, যা কারো কাম্য নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন