Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে বিবেচ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। একটি জাতীয় দৈনিক সূত্রে জানতে পারি, প্রকল্পপত্রে বলা হয়েছিল এই সড়ক ২০ বছর টেকসই হবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক নির্মাণের এক বছর পার না হতেই বিভিন্ন স্থানে ভগ্নদশা দেখা দিয়েছে। খানাখন্দে ভরে গেছে সড়ক। ফলে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় প্রায় হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন হলো, বিশ বছর মেয়াদ হলে ৫ বছরেই কেন নষ্ট হয়ে যাবে? সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বক্তব্য, ‘প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভার বহনের ফলে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। যে কারণে ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রকল্প এখন আবশ্যক হয়ে পড়েছে।’ কথা হচ্ছে এই প্রকল্প দেওয়ার সময়ই কি রাস্তা দিয়ে কী পরিমাণ লোডের গাড়ি চলাচল করতে পারবে তা বলা হয়নি বা তার ধারণা নিয়ে প্রকল্প দেওয়া হয়নি? নাকি নিম্নমানের কাজ দায়সারাভাবে করে আবার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার নামে। প্রত্যেকটি সড়কের একটি লাইফ টাইম বা মেয়াদ থাকে। ডিজাইন অনুযায়ী সড়কের মেয়াদ হয়। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের বেলায় তা কাজে আসছে না। এটা কেমন কথা? লাইফ টাইম না থাকলে দুর্নীতি তো হবেই। সড়কের অনিয়ম কমে আসুক। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার হোক যথাযথভাবে।
শতাব্দী জুবায়ের, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাসড়ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
২১ ডিসেম্বর, ২০২২
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন