রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাড়ি রাখার নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। পঞ্চগড় থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগের একমাত্র এ মহাসড়কটি ট্রাকের দখলে থাকায় দূরপাল্লার বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপসহ অন্য যানবাহনগুলো আটকা পড়ছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছোট ছোট যানবাহন ও যাত্রীরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে একাধিক। তবুও সরানোর উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
পথচারী মোটরসাইকেল আরোহী বিসিকনগর কলেজের অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম মাসুম জানান, সড়কের দু’পাশ দখল করে গড়ে ওঠা এ স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে পড়ে অনেক সময়। তিনি স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের খোলাপাড়া এলাকায় ট্রাক টার্মিনালের নির্ধারিত স্থান থাকলেও সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন স্ট্যান্ড। মাঝখান দিয়ে একটি গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। স্ট্যান্ডে এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চাপে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজটের।
দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে সড়কের দু’পাশে বালু জমাট হয়ে আছে চার ইঞ্চি করে। এতে মোটরসাইকেল চালকরা আরো বিপাকে চলাচলের। যদিও ট্রাক টার্মিনালের নির্ধারিত স্থানটিও ফাঁকা থাকে।
বিসিকনগর বিএম কলেজের লিমন, সাকিবসহ একাধিক ছাত্র জানান, প্রায় প্রতিদিন এ সড়কে কলেজে যাতাযাত করতে হয়। পাথর বালু লোড করে ট্রাকগুলো যেভাবে সড়কের দু’পাশে রেখেছেন বালু পড়ে পাকা সড়কের চিহ্ন মিশে যাচ্ছে। একটি গাড়ি গেলে ধুলা উড়িয়ে কুয়াশার মতো হয়।
জগদল এলাকার মিনিবাস চালক শাহীন জানান, সড়কের দুই পাশে এমনভাবে গাড়িগুলো থাকে মাঝখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়।
মন্ডলেরহাট এলাকার সিএনজি চালক আনোয়ার হোসেন জানান, সড়কের দু’পাশে ট্রাকগুলো রাখায় আমাদেরসহ যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা কিছু বলতে পারিনা।
নওগাঁ থেকে আসা ট্রাক চালক রবিউল বলেন, সড়কের পাশে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি রাখা হয়। কাগজপত্র ও টাকা পয়সার লেনদেন শেষ হলে চলে যাই।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও মোটরযান) কাজী কামরুল ইসলাম জানান, আমরা মাঝে মধ্যে গিয়ে গাড়িগুলো সরি দেই। জনবল সঙ্কটে নিয়মিত নজরদারি করতে পারি না। তবে কিছুদিনের মধ্যে এটা কেটে যাবে। নতুন জনবল দেয়ার কথা, তখন নিয়মিত নজরদারি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর মেয়র মোছা. জাকিয়া খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলে আসছে, এটা দুই-এক বছরের সমস্যা না। যতদিন ট্রাক টার্মিনাল ভাল হবে না, ততদিন এ সমস্যা থাকবে। আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি জমি অধিগ্রহণ করার জন্য, সেটা হলে সমস্যা নিরসন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।