Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরানের তেল রফতানি আয় শূন্যে নামাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 ইরানের পরমাণু চুক্তির বদলে নতুন চুক্তির জন্য তেহরানকে রাজি করাতে, একই সঙ্গে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য প্রচারণা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তেল রফতানি থেকে ইরানের আয় শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরান থেকে তেল আমদানি বাতিল করার জন্য বিভিন্ন দেশের আহŸান জানিয়েছে।
গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি পরিকল্পনা পরিচালক ব্রায়ান হুক সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের অশোধিত তেল বিক্রি আয় শূন্যে নামিয়ে আনতে ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ইরান কোনও স্বাভাবিক রাষ্ট্র নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে দেশটিকে অবশ্যই ১২ দফা শর্ত মানতে হবে।
ব্রায়ান হুক বলেন, স্বাভাবিক কোনও রাষ্ট্র অন্যদেশকে সন্ত্রাসায়িত করে না, ক্ষেপাণস্ত্র বৃদ্ধি করে না এবং নিজেদের জনগণকে নিঃসম্বল করে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি ইরানের শাসক পরিবর্তনের জন্য নয়। এটা ইরানের শাসকদের আচরণ পরিবর্তন করানোর জন্য। ইরানের জনগণ সত্যিকার অর্থে যা চায় তা যেনো দেশটির শাসকরা করতে বাধ্য হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘স্ন্যাপ ব্যাক’ নামের এই নিষেধাজ্ঞা ৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য থাকবে ইরানের গাড়ি খাত এবং সোনাসহ অন্যান্য ধাতব বস্তুর বাজার। ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ের আরেকটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে ইরানের জ্বালানি খাত। বিশেষ করে তেলবিষয়ক লেনদেন ও ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেন।
ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্প সরিয়ে নেওয়ার দুই মাসের মাথা এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোকে ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি বাতিল করার জন্য আহŸান জানানো হয়েছে যাতে করে চাপে পড়ে ইরান নতুন চুক্তি করতে সম্মত হয়।
ব্রায়ান হুক জানান,তিনি ইউরোপীয় মিত্র ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে এই সপ্তাহের শেশ দিকে ইরান ইস্যুতে আলোচনা করবেন। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সামনের দিনগুলোতে আরব উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের তেল রফতানি থেকে আয় শূন্যে নামিয়ে আনতে সবগুলো দেশকে রাজি করানো। এরই মধ্যে ৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইরানের জ্বালানি ও আর্থিক খাত ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইতিমধ্যে সউদী বাদশাহ সালমান সপ্তাহান্তে ট্রাম্পকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন যে তার দেশ প্রয়োজন বোধে তেল উৎপাদন বাড়াবে। তার দেশের দৈনিক অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
শনিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, অতিরিক্ত সউদী তেল ইরানি তেলের ঘাটতি মিটাতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, বিশ^্যাপী দৈনিক তেল চাহিদা প্রায় ১০ কোটি ব্যারেল। সূত্র আল জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ