প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাপ্পা মজুমদার নতুন করে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এ সংবাদে চাঁদনীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সরাসরি বললেন, আমার কোনো অনুভ‚তি নেই। আমি এখন অনুভ‚তিহীনতায় চলে গেছি। খবরটি শুনে মুচকি হাসলাম। এছাড়া আমি কী করবো? আমার কী করার আছে? আমার কী করা উচিত? আমি বাবা হারানোর শোকে রয়েছি। তার মধ্যে এ ধরনের খবর। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ কী করে? আমি কার জন্য কাঁদবো? বাবার জন্য নাকি সংসারের জন্য? অন্য কোনো মেয়ে এই পরিস্থিতে থাকলে কী করতো আমার জানা নেই। চাঁদনী কিছুটা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, সবাই কেন আমাকে কল দেয়? এই বিচ্ছেদের ব্যাপারে বাপ্পার কাছে কেন জানতে চায় না। বিয়ে তো সে করছে, আমি না। আপনাদের উচিত তার কাছেই জানতে চাওয়া কেন বিচ্ছেদ হলো, কবে বিচ্ছেদ হলো। আমি এসব নিয়ে মুখ খুলতে চাই না। আমার মুখ খুলে গেলে অনেক জনপ্রিয় মানুষের মুখোশ খুলে যাবে। আমি এসব বিতর্ক চাই না। আর বাপ্পার বিয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত কিছু কোথাও শুনিওনি। চাঁদনী বলেন, সবাই জানেন আমি কেমন মেয়ে। আমার নামে কখনো কোনো বাজে রিউমার ছিল না। আপনমনে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। একটি মানুষ, একটি বিয়ে আমার জীবনটাকে ঝড়ের মুখে ফেলে দিলো। এখন যার খুশি সে চাঁদনীকে নিয়ে আজেবাজে কথা ছড়ানোর সাহস পায়। তবুও আমি শান্ত থাকতে চাই। আমি সবকিছুর ফায়সালার মালিক আল্লাহর ওপর ভরসা করতে চাই। তিনি সব দেখেন ও জানেন। নিশ্চয়ই তিনি সব বিচার করবেন, আমাদের সবাইকে সম্মান নিয়ে বাঁচিয়ে রাখবেন। চাঁদনী বলেন, আমি সবসময়ই মানুষকে সম্মান করার চেষ্টা করি। সতর্ক থাকি কেউ যেন আমার দ্বারা অসম্মানিত না হয়। আমি আজও বাপ্পাকে স্বামী হিসেবে মানি ও সম্মান করি। তার বাবাকে আমি দেখিনি। কিন্তু তার মায়ের আদর আমি পেয়েছি। তাকে আমি আজও সম্মান করি। আমি নিজের পরিবারের সম্মানের প্রতিও দায়বদ্ধ। আমার বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সম্মান নিয়ে বেঁচে ছিলেন। আমি তাকে ছোট করতে চাইনি। সেজন্য বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে সব খবর এড়িয়ে গেছি। আমার বাবা চলে গেছেন গত ৯ এপ্রিল। এখন মা আমার একমাত্র ভরসা। তাকে আমি এসব ঘটনায় ছোট করতে চাই না। কথা বলতে গেলে কথা বাড়ে। আমি তাই চুপ করে রয়েছি। মায়ের মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। তার মাঝখানে মেয়ের সংসার নিয়ে কোনো খবরে তিনি আরও ভেঙে পড়–ন তা আমি চাই না। মারাও তো যেতে পারেন। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন নিজেকে শান্ত রাখতে পারি।
ছবিঃ চাঁদনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।