পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অন লাইন কেনাবেচা ই-কমার্স। শুরুতেই ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ই-কমার্স সেবা আরো গতিশীল করতে খুব শিগগিরই ই-প্লাজা চালু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করেন। প্রথম দুই মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু ছিল। বর্তমানে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মাসেই বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে।
ই-ক্যাব (ই কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)-এর সভাপতি রাজীব আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা সম্প্রতি ব্যাপক প্রসার লাভ করছে। গবেষণা না থাকায় সঠিক সংখ্যা বলা না গেলেও, প্রায় এক হাজারের মতো ই-কমার্সের ওয়েব সাইট রয়েছে বাংলাদেশে। অল্প দিনের মধ্যে খুব ভালো করেছে ওয়ালটন। এছাড়া একক ব্র্যান্ড হিসেবে আড়ং, ফুড পান্ডা, প্রাণ, নিটোল তারাও ভালো করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ই-কমার্সে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। ধারণা করা হচ্ছে টাকার অংকে অন্যান্য সকল পণ্যের ক্ষেত্রেও একক ব্র্যান্ড হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় বিষয়টি ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
ওয়ালটন আইটি বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, গ্রাহকদের হাতের নাগালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য সহজে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহকরা দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্য কিনতে পারছেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও পণ্যের অর্ডার দিয়ে দেশের যে কোনো স্থান থেকে ডেলিভারি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক প্রবাসী ওয়ালটনের ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনেছেন।
ওয়ালটন সূত্র মতে, তাদের ই-কমার্স পদ্ধতি খুবই সহজ। জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রাম পর্যায়ে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে অর্ডার দিলে ডিসকাউন্ট এবং ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্রেতারা মোবাইল ব্যাংকিং অথবা যে কোনো ব্যাংকিং কার্ড-এর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ই-কমার্স সেবাকে আরো গতিশীল করতে এবং ক্রেতাদের হাতের নাগালে সহজে সেবা পৌঁছে দিতে ই-প্লাজা নামে নতুন একটি পদ্ধটি চালু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়ালটনের পণ্য পৌঁছানো আরো সহজতর হবে।
দেশের পাশাপাশি খুব শিগগিরই বিদেশের বাজারকেও ওয়ালটনের ই-কমার্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বর্তমানে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য। এসব দেশগুলোতে অবস্থিত ওয়ালটন সেলস পয়েন্টের আওতায় গ্রাহকরা ঘরে বসেই অন-লাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত মুদ্রায় পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
ওয়ালটনের আইটি বিভাগের সফটওয়্যার প্রকৌশলী শিহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে ই-কমার্স লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে প্রায় ৪ শতাধিক মডেলের পণ্যে নগদ মূল্যের উপর দেয়া হচ্ছে ডিসকাউন্ট এবং শর্তসাপেক্ষে ফ্রি হোম ডেলিভারি। এছাড়া ক্রেতাদের হাতের নাগালে পণ্য পৌঁছাতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, ক্রেতারা ওয়ালটন প্লাজা ও অন্যান্য আউটলেট থেকে পণ্য কিনলে সার্ভিস ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবাসহ যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলো অন-লাইনে পণ্য কিনলেও পাবেন। বর্তমানে, সারা দেশে ওয়ালটন পণ্যের গ্রাহকরা ফ্রিজে পাচ্ছেন এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, এলইডি টিভিতে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, এসিতে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এছাড়াও, দেশব্যাপী বিস্তৃত আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।