পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে : কোনো চাষ ছাড়াই, কাদার মধ্যে মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক, রাজবাড়িতে বিনা চাষে রসুন আবাদ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখন কৃষকরা বিনা চাষে রসুন উৎপাদনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। কৃষি অফিসও তাদেরকে দিচ্ছেন বিনা চাষে রসুন উৎপাদনে নানান রকম পরামর্শ। ২০১৩ সালে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোসাই গোবিন্দপুর গ্রামের আক্কেল আলী শেখের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন শেখ ২৪ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ শুরু করেন। তার এ অভিনব চাষাবাদ দেখে এলাকার অনেক কৃষক তার পরামর্শক্রমে বিনা চাষে রসুন উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন শেখ জানান, ২০১৩ সালে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় থাকা তার ভায়রা বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে বিনা চাষে রসুন উৎপাদন দেখে তার মধ্যে আগ্রহ জাগে। তিনি বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরই জমিতে পানি সরে যাওয়ার পর কাদার মধ্যে ২৪ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে রসুন বপন করেন। ওই রসুন ক্ষেতে খড় বিছিয়ে দেন। ২টি সেচ দেয়ার ফলে ওই খড় পচে মাটিতে মিশে যায়। এতে সার কম লাগে। তার এ পদ্ধতি চাষ করা দেখে অনেক কৃষক নানা কথা বললেও ওই জমিতে উৎপাদন করে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। পরবর্তী বছর ৪০ শতাংশ ও এ বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে রসুন চাষ করেছেন সে।
কৃষকরা জানান এ পদ্ধতিতে রসুনের চাষ করলে জমিতে চাষ দেয়া ও কোপানো লাগে না। সার ও ওষুধ কম লাগে। শুধু মাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়। লাগানো রসুন ক্ষেতের চেয়ে অনেক বড় বড় গাছ ও রসুন বড় হয়।
ফলে ১০-১২টি রসুনেই এক কেজি হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন। তার এ পরামর্শ নিয়ে এ বছর জলিল মৃধা, ইব্রাহিম মিয়া, আকবর শেখ, আলামিন শেখ বিনা চাষে রসুনের আবাদ করেছেন। এখন অনেক কৃষকই এ পদ্ধতি চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষকেরা আরো জানান, এ পদ্ধতির চাষাবাদে চাষের পদ্ধতির চেয়ে দ্বিগুণ রসুন উৎপাদন হবে। চাষ করে রসুন আবাদ করলে প্রতি বিঘায় ২০ মণ রসুন ফলন হয়, আর বিনা চাষে ৩০ থেকে ৪০ মণ রসুন ফলন হয়।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আকরাম হোসেন জানান, আবহাওয়ার কারণে বর্ষার পানি সরতে ও চাষ করতে রসুন আবাদে এক-দেড়মাস পিছিয়ে যেতে হয়। এ কারণে সামান্য কাদার উপর রসুন লাগালে সময় এগিয়ে আসে। এতে উৎপাদন খরচ কম হয় ও ফলন বাম্পার হয়। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ পদ্ধতির চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। চলতি বছর ৩০-৩৫ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ হয়েছে, প্রতি হেক্টর জমিতে ৭ থেকে ৮ মেট্টিক টন রসুন ফলন হবে। আগামীতে রসুন আবাদ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।
রাজবাড়ীর কৃষকদের দাবি রসুনের বাজারমূল্য বর্তমানে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মণ, সরকার যদি বিদেশ থেকে রসুন আমদানি না করে তবে কৃষক আরো লাভবান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।