২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মাথাঘোরার অন্যতম প্রধান একটি কারণ একিউট ভেস্টিবুলার ফেইলিউর। সমস্যাটির আরো দু’টি নাম আছে। একে ’ল্যাবেরিনথাইটিস’ এবং ’ভেস্টিবুলার নিউরোনাইটিস’ ও বলা হয়। আমাদের কানের ৩টি অংশ আছে। বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ এবং অন্তঃকর্ণ। একিউট ভেস্টিবুলার ফেইলিউরে অন্তঃকর্ণে প্রদাহ হয়।
কেন যে রোগটি হয় তা পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। তবে বেশকিছু কারণ বিভিন্ন বিজ্ঞানী খুঁজে বের করেছেন। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে রোগটি হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া আঘাত, এলকোহল, কিছু ওষুধ (যেমন - এসপিরিন, এন্টিবায়োটিক) এবং টিউমার একিউট ভেস্টিবুলার ফেইলিউর এর জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
হঠাৎ করেই রোগটি শুরু হয়। প্রচন্ড মাথাঘোরা দেখা দেয়। সাথে থাকে বমি এবং অস্থিরতা। অনেক সময় সমস্যা এতই প্রকট আকার ধারণ করে যে রোগী বিছানা থেকেই উঠতে পারেনা। কয়েকদিনের মধ্যেই উপসর্গ কমে আসে। তবে কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ বেশ কিছুদিন থাকে। চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়াও হয় রোগের শুরুর দিকে।
একিউট ভেস্টিবুলার ফেইলিউর ডায়াগনসিসের জন্য ভালভাবে ইতিহাস নিতে হবে। ইতিহাস সঠিকভাবে নিলে এবং শারীরিক পরীক্ষা করলে রোগটি ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হবার জন্য সিটি স্ক্যান, এম, আর, আই ইত্যাদি করা হয়। এ পরীক্ষাগুলো অবশ্য সরাসরি রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করেনা। তবে মাথাঘোরার অন্যান্য জটিল কোন কারণ আছে কিনা তা বুঝতে সাহায্য করে।
সিনারিজিন, প্রোক্লোরপেরাজিন এবং বিটাহিস্টিন রোগের তীব্রতা কমায়। তবে এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তাহলে রোগটি আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। কিছুসংখ্যক রোগী পুরোপুরি সুস্থ কখনই হয়না। তখন ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাহায্য নিতে হয়।
এলকোহল এবং ধূমপানের সাথে রোগটির সম্পর্ক আছে । তাই এগুলো পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। একটু সাবধান হয়ে চললেই রোগটি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।
-ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।