শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম [১৬২০Ñ ১৬৯০ ] বাংলা ভাষার প্রতি যে গভীর মমত্ব দেখিয়েছেন; এককথায় তা অকল্পণীয়। কেবল তা-ই নয়; এই ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে তিনি যে অনবদ্য কবিতাটি রচনা করেছেন; আজও, এই সময়েÑএই সমাজেÑএই রাষ্ট্রে তা শতভাগ সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু একটি বিষয় খুব আশ্চর্যের এবং যা না বললেই নয় এবং আমাদের চোখে খুব লক্ষণীয়; কবি আবদুল হাকিমকে নিয়ে বাংলা ভাষার ধারক-বাহক ও কর্তাব্যক্তিদের কোন দায় নেই। তাঁকে নিয়ে কোথাও কোন উচ্চবাচ্য-নি¤œবাচ্য, সাড়া-শব্দ নেই। অথচ এই কবিই কিনা বাংলা ভাষার পক্ষে সর্বপ্রথম এবং সবচে’ জোড়ালো ও শক্তিশালী কবিতাটি লিখেছেন। এই ভাষার মাসে এই কবিকে নিয়েই তো সবচে’ বেশি আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু কোথায় সেই আবদুল হাকিম! কোথায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা! প্রিয় পাঠক, কবি আবদুল হাকিমকে খুব যতœ করে মুছে ফেলা হচ্ছে। এই কাজটি করছে বাংলা ভাষা সাহিত্যের কিছু রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান কর্তাব্যক্তি। এ-দেশের মাধ্যমিকে তাঁর একটি কবিতা [বঙ্গবাণী] পাঠ্য ছিল দীর্ঘদিন; যা তরুণ প্রজন্মের অতি অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত; সেই কবিতাটিও অকবিদের ক্ষমতার দাপটে সেই পাঠ্যবই থেকে মুছে গেছে। কী আশ্চর্য সেলুকাস! সত্যি সব সম্ভবের এই দেশ! প্রিয় পাঠক, বুঝে নিন, বাংলা ভাষার শত্রæ আসলে কারা? আবদুল হাকিমকে বাদ দিয়ে যে অকবিদের কবিতা পাঠ্য করা হয়েছে তাঁদের সন্তানেরা দেশ-বিদেশের স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। এইভাবে, এই কদর্যভাবে কি আবদুল হাকিমকে মুছে ফেলা সম্ভব? নির্দি¦ধায় বলা যায়, আবদুল হাকিমকে বাংলার মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়; যারা তাঁকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন; আশা করছি তারাই অতি দ্রæত মুছে যাবেন।
কবি আবদুল হাকিমের জন্ম আনুমানিক ১৬২০ খ্রি. স›দ্বীপের সুধারাম নামক গ্রামে। এ যাবৎকালে তাঁর লেখা আটটি কাব্যগ্রন্থের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। কাব্যগ্রন্থগুলো: ইউসুফÑজলিখা, লালমতী সয়ফুলমুলক, শিহাবুদ্দীন-নামা, নূরনামা, নসীহৎ নামা, চারি মোকাম ভেদ, কারবালা ও শহর-নামা। তিনি তাঁর সময়ের খুব জনপ্রিয় কবি ছিলেন এবং ব্যাপক জনমানুষের মধ্যে কবি হিসেবে তাঁর অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা ছিল। ‘লালমতী ও সয়ফুলক’ প্রকাশ পাবার কবি হিসেবে সমগ্র বাংলাভাষীদের মধ্যে ঈর্ষণীয় সাড়া পড়ে যায়। মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার মর্যাদার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন ব্যক্তিত্ব।
২
প্রিয় পাঠক, আজ এই সময়ে যেমন বাংলা ভাষার শত্রæর অভাব নেই; একইভাবে মধ্যযুগেও বাংলা ভাষার শত্রæর অভাব ছিল না। ঐ সময়ে সমাজে ধর্মীয় অন্ধত্ব ও গোড়ামী ছিল বেশি। ধর্মীয় বিভেদের কারণে তৎকালীন সময়ে বাংলা ভাষা এ-দেশের মানুষের কাছে বিমাতাসুলভ আচরণ পেয়েছে। ঐ সময়ে বাংলা ভাষার অবস্থা প্রকট ও শোচনীয় না হলে কবি আবদুল হাকিমকে কলম ধরতে হত না। ঐ সময়ে, ঐ মধ্যযুগেও আমাদের বাংলা ভাষার অবস্থা কতটা শোচনীয় ছিল আবদুল হাকিমের কবিতা পাঠান্তে তা সহজেই অনুমান করা যায়। কবি আবদুল হাকিম লিখেছেন:
কিতাব পড়িতে যার নাহিক অভ্যাস।
সে সবে কহিল মোতে মনে হাবিলাষ।।
তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন।
নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন।।
আরবি ফারসি শাস্ত্রে নাই কোন রাগ।
দেশী ভাষে বুঝিতে ললাটে পুরে ভাগ।।
আরবি ফারসি হিন্দে নাই দুই মত।
যদি বা লিখয়ে আল্লা নবীর ছিফত।
যেই দেশে যেই বাক্য কহে নরগণ।
সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন।।
সর্ববাক্য বুঝে প্রভু কিবা হিন্দুয়ানী।
বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী।।
মারফত ভেদে যার নাহিক গমন।
হিন্দুর অক্ষর হিংসে সে সবের গণ।।
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়।
নিজ দেশ তেয়াগি কেন বিদেশ ন যায়।।
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।।
[বঙ্গবাণী ঃ নূরনামা]
কবি আবদুল হাকিমের স্বভাষার প্রতি ছিল গভীর শ্রদ্ধা ও মমতা। সেই শ্রদ্ধা আর মমতায় উৎসারিত হয়েই তিনি উপর্যুক্ত কবিতাটি লেখায় হাত দিয়েছেন। সেই মধ্যযুগেও কারো যে মাতৃভাষার প্রতি এতোটা মমত্ববোধ, প্রগাঢ় ভালোবাসা ছিল, সত্যিই বিষয়টি ভাবনার উদ্রেককারী।
এখন দেখা যেতে পারে, কবি আবদুল হাকিমের ভাষ্যমতে তৎকালে বাংলা ভাষার সংকটটা [ ক্রাইসিস] কী ছিল। তাঁর কবিতার অনুগামী হলে দেখা যায়, তৎকালে মানুষ ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যার অনুগামী হয়ে বাংলা ভাষার প্রতি চরম বৈরি আচরণ করেছে। তাদের হয়তো ধারণা ছিল যে,
আরবি-ফারসি আল্লাহর ভাষা; এই ভাষা ব্যতীত অন্যসকল ভাষায় আল্লাহকে ডাকলে সাড়া দেন না; বা তৎকালের অতি মূর্খদের হয়তো ধারণা ছিল যে, আরবি-ফারসি ছাড়া খোদাতায়ালা অন্য ভাষা বুঝতেই পারেন না। সম্পূর্ণ এই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে তৎকালে মানুষ বাংলা ভাষাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করতে পারেনি; তারা এই ভাষাটির সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। তারা এই দেশে বাস করেছে, এই দেশের আলো-হাওয়ায় বেড়ে উঠেছে; কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই দেশের ভাষাটিকে গ্রহণ করতে পারেনি; একে হিন্দুর ভাষা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তারা এতোটাই অজ্ঞ ও নাদান ছিল যে, তারা জানতই না যে কোন ভাষাবিশেষের প্রতি সৃষ্টিকর্তার রাগ-অনুরাগ নেই। তিনি সকল ভাষাই বোঝেন, সকল ভাষাতেই সমানভাবে সাড়া দেন।
কবি আবদুল হাকিমের কবিতাটি পাঠান্তে এতোটুকু অনুমান করা যায় যে, বাংলা ভাষার প্রতি তাদের যে শুধু বিরাগ ছিল তাই না, এই ভাষাকে তারা বিভিন্নভাবে অপমাণিত ও লাঞ্ছিতও করেছে। নচেৎ কবি আবদুল হাকিম তাদের জন্মদাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন না এবং দেশ ত্যাগেরও উপদেশ দিতেন না। নিশ্চয়ই বাংলা ভাষার প্রতি তাদের আচরণ লক্ষ করে এই কবি অতিশয় রুষ্ট হয়েছিলেন।
কবি আবদুল হাকিম ছিলেন বাংলা ভাষার প্রকৃত হিতৈষী। বাংলা ভাষাকে ভালোবাসেন বলেই তিনি বাংলাভাষার একজন কবি হতে চেয়েছিলেন। নাম, যশ, খ্যাতি, অর্থ কামানো তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে মর্যাদার সঙ্গে মানুষের কাছে তুলে ধরা। তিনি মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা করতে চেয়েছেন; আমরাও চাই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চিরজীবী হোক।
মেলা ভাবনা
ফেব্রæয়ারি-ভাষা আন্দোলন-বইমেলা ; আমার বাংলা ভাষারই চিরন্তন এক রূপ। এই রূপের বৈচিত্র ঘটে নানা স্বাদের গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। পাঠক হিসেবে একটি মাস আমরা অপেক্ষায় থাকি নতুন বইয়ের জন্য। মেলায় শুধু বই নয় দেখা হয় লেখকদের সাথেও। মেলায় বেড়াতে এসে বই বিমুখ মানুষও গ্রন্থপ্রেমিক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বই কেনার জন্য শিশুদের কৌতুহল ও আগ্রহ তাদের মানস গঠনের পেছনে বিরাট ভূমিকা রাখে। কাজেই নানা দিক দিয়েই বইমেলা এখন জীবনচর্যারই বিষয় হয়ে ওঠেছে।
নতুন বই এর সোদা গন্ধে মউ মউ মাতাল হয়ে ওঠে মন প্রাণ। মন হয় উচাটন কখন হবে তার সাথে দেখা হবে ভালোবাসা বিনিময়। হয় বই মেলাতে লেখক পাঠকদের সাথে দেখা। হয় মত বিনিময় তাদের সাথে বই আদান প্রদান কেনাকাটা। নামি লেখকদের বই কিনতে আগ্রহী হয়ে থাকি। একটা ছোট খাটো লিষ্টও করে ফেলি কার কি বই কিনবো। উনাদের বই আমাদের যেমন সমৃদ্ধ করে তেমনি আমরাও চাই আমাদের সৃষ্টিশীল সৃজনশীল লেখা দশ জনের হাতে থাক তারাও পড়–ক। এতেই আমাদের আনন্দ। জানি না কয়জন আমার বই কিনতে আগ্রহী তবুও বই এর সটলে সাজানো আমার বই আমাকেই ডাকে। যদিও বই মেলার বিশালত্বের মাঝে হারিয়ে যাই বর্তমান সময়ে। তবুও ভালো লাগে বিস্তর পরিসরের বই মেলা কিন্তু হারিয়ে ফেলি আপনত্বের কিছু কিছু বিষয়। বাংলা একাডেমী চত্বরে ছিল ঠাঁসাঠাঁসি ঠেলাঠেলি ওর মধ্যে এক রকম আনন্দ ছিল। এক নজরে এক পলকে অনেক কিছু এক সাথে দেখতে পাওয়া। পাশাপাশি পেয়ে যেতাম শত শত লেখক চেনা অচেনা লেখিয়েদের। সাথে পাঠকদের চেহারাও নজর কাড়তো। যদিও আমাদের সুবিধা কথা বিবেচনা করেই বিশাল চত্বরে বড় বড় স্টলে সমৃদ্ধ বই মেলার আয়োজন। কিছু কিছু পরিবর্তন মানতেই হয় যা থেকে মানুষ উপকৃত হবে। বই মেলে নিত্যই হাতছানিতে ডাকে। কিন্তু এতো বিশাল স্থাপনা ঘুরে ঘুরে শেষ করা যায় না। তবুও আনন্দ প্রতিবছর তোমাকে কাছে পেতে উপছে পড়া আনন্দে অপেক্ষায় থাকি।
অমর একুশে বইমেলা বাংলাভাষী মানুষের প্রাণের মেলা৷ ভাষা নিয়ে যাদের অনুভূতিগুলো ভাসা ভাসা তাদের কাছে এই মেলাটা নিছক বই প্রদর্শনী এবং গালগল্পের মিলনমেলা ছাড়া কিছু নয়৷ নব্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক’জন বন্ধু মিলে আমরা ‘অরুন্ধতী’ নামক একটি লিটল ম্যাগাজিন বের করতাম, সেই সময়ের স্মৃতিগুলো এখনও আমাকে আবেগতাড়িত করে৷ সেই লিটল ম্যাগাজিনে লেখালেখি এবং কাজ করার সুবাধে সেই সময়ের জনপ্রিয় কবি,ছড়াকার,কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকদের সাথে চেনাজানার বেশ একটা সুযোগ হয়েছিল৷ আমাদের সময়টাতেই হুমায়ূনের পাশাপাশি শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ, মহাদেব সাহা ইমদাদুল হক মিলনরা পাঠক সমাজে একটা বিশেষ মর্জাদার আসন গ্রহণ করেছিলেন৷ ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন আমীরুল ইসলামরাও ছিলেন তরুদের কাছে সমান জনপ্রিয়৷ একুশের বইমেলাতে এসব কবি সাহিত্যিকদের বই বের হলে আমরা তরুণরা সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠতাম৷ বর্তমান সময়ে একুশের বইমেলাতে তরুণদের আর সেই আবেগটা খুঁজে পাই না৷এখনকার তরুণরা খুবই ব্যস্ত, তাদের এখন বই পড়ার সময় কোথায়? এরপরও এবারের বইমেলায় আমার দু’টি ছড়ার বই ‘রঙ্গেভরা বঙ্গদেশ’ ও ‘ফাগুনের ছড়া’ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী৷ ‘গ্রন্থকানন’ (স্টল : ২৪০, ২৪১) থেকে প্রকাশিত ছড়াগ্রন্থ দু’টি সব শ্রেণির পাঠকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা প্রাপ্তি বীর বাঙ্গালীদের এক গর্বের ইতিহাস।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের রক্তের ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা রয়েছে। বিশ্বজনীন বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ইউনেসকো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে।বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলতের আতুরঘর বলা হয়ে থাকে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙ্গালীর প্রাণেরমেলা।বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমতে শুরু করেছে গ্রন্থ মেলা।ছুটির দিনগুলিতে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় যা মেলায় প্রাণের সঞ্চার আনে।অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় লেখক-পাঠকদের এক কাতারে নিয়ে আসে যা আমাদের এক নতুন অভিজ্ঞতার সন্ধান দেয়,পুলকিত করে হৃদয়।
বাংলা একাডেমীর আয়োজনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা সাঁজে নব সাঁজে।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের কাছে এ মেলার গুরুত্ব বহন করে। আমি এবছর বই মেলায় ইতোমধ্যে কয়েকদিন সময় অতিবাহিত করেছি।মেলা আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আমাদের সভ্যতাকে বহন করে এবং শিল্প সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। এমনই উৎসবে আমরা মাততে যায় যুগ যুগ।অমর একুশে গ্রন্থমেলার শুভ কামনা করছি।
গ্রন্থনা : হাবীবুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।