নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সঙ্গীর অভাবে শেষ পর্যন্ত নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা না মিললেও দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামার আগে ৩৫ টেস্টে তাঁর পূঁজি ছিল ১৯৩১ রান। গতকাল ৬৯ রানের মাথায় দুই হাজারী ক্লাবের নতুন সদস্য হন এই অলরাউন্ডার। দলের রান যখন ৪ উইকেটে ৩৫৬ তখন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন টাইগারদের নতুন এই অধিনায়ক। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে একাই লড়াই করে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের স্কোরকে নিয়ে যান ৫১৩ রানে। তার এই ক্যাপ্টেনস নকের ওপর ভর করে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই মাঠে টাইগারদের দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ৫০৩।
এই নিয়ে সপ্তমবারের মত ৫শ’র অধিক দলীয় সংগ্রহ পেল টাইগাররা। আর পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ বাংলাদেশের। তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। লংকানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটিই বাংলাদেশের সেরা স্কোর। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৬৩৮ রান। ২০১৩ সালে গল-এ শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৯৬ ওভার ব্যাট করে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৬৩৮ রান করেছিলো মুশফিকের দল।
২০০৯ সালের ৯ জুলাই কিংসটাউনে স্বাগতিক ওেেয়স্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। অভিষেক টেস্টে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবে ২০১০ সালের শুরুর দিকে টেস্টে দারুণ ছন্দে ছিল তার ব্যাট। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে চারটি হাফ সেঞ্চুরিসহ প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন রিয়াদ। ১১টি চারের সাহায্যে ৬৯ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন তিনি। ২৪ জানুয়ারি ঢাকায় একই দলের বিপক্ষে প্রায় প্রথম সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। ১৭৬ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৫৬ বল খেলে ১৩টি চারের সাহায্যে দুর্দান্ত ইনিংসটি রচনা করেন রিয়াদ। তবে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাকে। ১৫ ফেব্রæয়ারি শুরু হওয়া হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই কাঙ্খিত শতকের দেখা পান। ১৯০ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৭৭ বলে ১১৫ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি ১৭টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কায়। চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে একই বছর ১২ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান। ২০ মার্চ ঢাকায় পরের টেস্টে আসে চতুর্থ ফিফটি। টেস্টে সবচেয়ে বেশি চারটি ফিফটি রিয়াদ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এছাড়া ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি করে এবং ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২টি করে ফিফটি পেয়েছেন তিনি। ৩৬ টেস্টে ৩১.৫৬ গড়ে ১৫টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরিসহ ২০১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।