নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভার। এনামুল হক জুনিয়রের ডেলিভারি বাউন্ডারিতে পাঠালেন মাহমুদউল্লাহ। ওই শটে একটি মাইলফলকেও পৌঁছে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। স্পর্শ করলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ হাজার রান।
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামার সময় মাইলফলক থেকে ১১ রান দূরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বগুড়ায় ঢাকা মেট্রোর হয়ে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচে কাক্সিক্ষত পথটুকু পাড়ি দেন অনায়াসেই।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ বীরত্বেও মাত্র ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে দ্বিতীয় স্তরে থাকা ঢাকা মেট্রো। তাদের গুঁড়িয়ে ৭৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার রেজাউর রহমান রাজা। তার পাশাপাশি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র ও অলোক কাপালি। শেষ বিকালে ব্যাট করতে গিয়ে সিলেটও অবশ্য ৫ রানেই ১ উইকেট খুইয়েছে।
দল ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিপর্যয়ের মধ্যে এক প্রান্ত আগলে দলে এগিয়ে নেন তিনি। পেরিয়ে যান ফিফটিও। তবে ইনিংসটিকে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কে নিতে পারেননি। আগের ম্যাচের মতোই আউট হয়েছেন ঠিক ৬৩ রানে।
৬ হাজার প্রথম শ্রেণির রানের একটি বড় অংশই করেছেন মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ম্যাচে। ৪৬ টেস্ট খেলে রান তার ২ হাজার ৬৬৯। এছাড়া ঢাকা বিভাগের হয়ে ৩৪ ম্যাচে রান ১ হাজার ৯১০। তার ১১ সেঞ্চুরির ৪টি বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে, ৪টি ঢাকা বিভাগের হয়ে। বর্তমান দল ঢাকা মেট্রোর হয় করেছেন একটি। আর দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে করেছেন ২টি। ৬ হাজার রানের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪১টি উইকেটও আছে মাহমুদউল্লাহর। বল হাতে আছে টানা চার বলে উইকেটের কীর্তিও।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৬১ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী। সর্বোচ্চ ৫১ রান এসেছে জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাট থেকে। ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
টস হেরে ব্যাটিং পেলেও মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যর্থতায় সুবিধা করতে পারেন ফরহাদ হোসেনের দল। সর্বোচ্চ ৫১ রান এসেছে জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাট থেকে। ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজের শিকারে পরিণত হবার আগে তাইজুল ইসলামের ২৯ রানের ইনিংসে ভর করেই আড়াইশ ছাড়ায় রাজশাহীর ইনিংস। মিরাজের দিনে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরা দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা-রাজশাহী, খুলনা
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৮৫.৩ ওভারে ২৬১ (জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ ৪৫, শান্ত ২৩, মুশফিক ২৪, রেজা ৪১, সানজামুল ২৩, তাইজুল ২৯,; মুস্তাফিজ ২/৬৪, আল-আমিন ১/২০, রুবেল ২/৫১, মিরাজ ৪/৩৮, রাজ্জাক ১/৭২)।
রংপুর-ঢাকা, চট্টগ্রাম
ঢাকা ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ৩১৪/৪ (রনি ৬৫, সাইফ ১২০ আহত অবসর, রকিবুল ৫৭, তাইবুর ৩৫; রবিউল ১/৩৬, শুভ ২/৮০, মাহমুদুল ১/৩৭)।
চট্টগ্রাম-বরিশাল, ফতুল্লা
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ২৬১/৪ (ইরফার ৫৭, তাসামুল ২৮, ইয়াসির ৬৮ ব্যাটিং, অঙ্কন ৬৯ ব্যাটিং; মনির ২/৭০, আশরাফুল ১/১৫)।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট, বগুড়া
ঢাকা মেট্রো ১ ইনিংস : ৮৩.৪ ওভারে ২৪৬ (নাইম ২৩, মাহমুদউল্লাহ ৬৩, শহিদুল ৫৪, রনি ২৫; এনামুল জুনি. ২/৫২, রেজাউর ৪/৭৫, কাপালি ২/২৩)। সিলেট ১ম ইনিংস : ৪ ওভারে ৫/১ (তৌফিক ১ আহত অবসর, এনামুল জুনি. ৪ ব্যাটিং, জাকির ০ ব্যাটিং)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।