নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গ্যাবার ইতিহাস তাহলে এবারো বদলালো না। খাতা কলমে অবশ্য এখনো বদলে দেয়ার ‘সুযোগ’ ইংল্যান্ডের সামনে। কিন্তু এজন্য শেষ দিনে তাদের নিতে হবে ১০ উইকেট। আর ব্রিসবেনে অজেয় থাকার গৌরব ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে মাত্র ৫৬ রান। অতিনাটকীয় কিছু না হলে জয় দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেজ মিশন।
স্বাগতিক বোলারদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুটের দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯৫ রানে। জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ১১৪ রান তুলে ফেলে অসিরা। ব্রড-অ্যান্ডারসনরা ফ্লাট উইকেটে কোন জুজু দেখাতে পারেননি। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা বেনক্রফট প্রথম ইনিংসে ৫ রান করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান তুলে অপরাজিত আছেন। তার ১১৯ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। ৮টি চারে ৮৬ বলে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন ওয়ার্নার।
প্রথম ইনিংসে ২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউডের বোলিং তোপে ২ উইকেটে ৩৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো ইংল্যান্ড। মার্ক স্টোনম্যান ১৯ ও অধিনায়ক জো রুট ৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন। স্টোনম্যান ২৭ রান করে ফিরে গেলেও, টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। অবশ্য এর পরপরই থেমে যায় তার ইনিংস। বাকিদের মধ্যে কেবল মঈন আলী ও জনি বেয়ার’শ চল্লিশোর্ধো রানের দুই ইনিংস খেলেন। হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সের সঙ্গে উইকেট শিকারে মেতে ওঠেন স্পিনার নাথান লায়নও। তিন জনই নেন সমান ৩টি করে উইকেট। ৭১.৪ ওভারে শেষ হয় ইংলিশদের ব্যাটিং যাত্রা।
এই ৩ উইকেটের মাধ্যমে চলতি বছর ৫০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন লায়ন। গত ১১৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার ডান-হাতি অফ-স্পিনার হিসেবে যা এই প্রথম। ১৯০২ সালে এই কীর্তি গড়েছিলৈন ট্রাম্বেল (৫৩টি)। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ স্পিনার হিসেবে এক বছরে ৫০ বা ততোধিক উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তুললেন লায়ন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে এক বছরে ৯৬ উইকেট নিয়েছিলেন কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার শেন ওয়ার্ন।
ইংল্যান্ড : ৩০২ ও ৭১.৪ ওভারে ১৯৫ (আগের দিন ৩৩/২) (কুক ৭, স্টোনম্যান ২৭, ভিন্স ২, রুট ৫১, মালান ৪, মঈন ৪০, বেয়ার’শ ৪২, ওকস ১৭, ব্রড ২, বল ১, অ্যান্ডারসন ০*; স্টার্ক ৩/৫১, হ্যাজেলউড ৩/৪৬, কামিন্স ১/২৩, লায়ন ৩/৬৭, স্মিথ ০/৮)।
অস্ট্রেলিয়া : ৩২৮ ও (লক্ষ্য ১৭০) ৩৪ ওভারে ১১৪/০ (ব্যানক্রফট ৫১*, ওয়ার্নার ৬০*; অ্যান্ডারসন ০/১৭, ব্রড ০/১৪, মঈন ০/২৩, ওকস ০/৩১, বল ০/১৭, রুট ০/১০)। *শেষ দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৫৬ রান, ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।