পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বসা জুয়ার আসরে বাধা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ ইমাদ উদ্দিনের খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাসিমের বাবা আলী আহমেদ সাইফুদ্দীন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আবদুর রশিদ, রমজান ও আসিফ নামে স্থানীয় তিন যুবক ছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। বাড্ডা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। নাসিম আহমেদ ইমাদ উদ্দিনের (২৩) বড় ভাই ফাহিম আহমেদ বলেন, নাসিম গত সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই হামলার শিকার হয়। এক দুর্বৃত্ত তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। নাসিমের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, বিপিএল ম্যাচ নিয়ে জুয়ার আসরে বাধা দেয়ার ঘটনায় নাসিমকে খুন করা হয়েছে। রবিবার রাতে নাসিম জুয়ার আসরে বাধা দেয়ার পর ০১৯০৪৭০৭৩৯৩ নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয়েছে, তোর কল্লা ফেলে দেব। আমাদের ধারণা, জুয়ার আসরে বাধা দেয়ার জেরেই নাসিমকে হত্যা করা হয়েছে। নাসিমের বাবা আলী আহমেদ সাইফুদ্দিন বলেন, মধ্য বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির ৪ নম্বর বাড়িটি আমার নিজের। ওই বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে জুয়ার আসর বসায় স্থানীয় রমজান ও তার চাচা শ্বশুর আবদুর রশিদসহ ২০-২৫ জন। আমার মেজ ছেলে নাসিম আহমেদ ইমাদ উদ্দিন ওই আসরে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সে (নাসিম) রমজানকে মারধর করে। এ ঘটনার পর রমজান, আবদুর রশিদসহ ২০-২৫ জন আমাদের বাড়িতে এসে এর বিচার চেয়ে হুমকি দেয়। তারা জানিয়ে দেয়, সুবিচার না পেলে নাসিমকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে। এ সময় আবদুর রশিদ আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে উল্লেখ করেন আলী আহমেদ। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর তারা বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল। এমনকি ফোন করে আমাকেও হুমকি দেয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার মাগরিবের নামাজের পর সালিশ করার সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু এর আগেই আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।