পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কাকরাইলের নিজ বাসায় মা-ছেলে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের ফ্ল্যাটে খুন হন তাঁরা। নিজ ফ্ল্যাটের সামনে সিড়িতে ছেলে ও ঘরের ভেতর মায়ের লাশ পড়ে ছিল। ওই বাড়ির দারোয়ান পুলিশকে খবর দিলে গত রাত সাতটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহনরা হলেন-ওই বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওন (১৯)। শাওনের বাবা আব্দুল করিম ওই ভবনের মালিক এবং তিনি ব্যবসা করেন। কাকরাইলের রাজমণি-ইশা খাঁ হোটেলের বিপরীত পাশে তলা গলির ৭৯/১, মায়াকানন নামের বাসার ৬ তলা একটি ভবনের ৫ তলায় থাকতেন তাঁরা। বাড়ির মালিক ও গৃহকর্তা আবদুল করিম তখন বাসার বাইরে ছিলেন। নিহতদের মধ্যে মা গৃহিণী। আর ছেলে স¤প্রতি ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দিয়েছেন বলে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে লাশ উদ্ধারের সময় তারা দেখেছেন মায়ের গলাকাটা ছিল আর ছেলের শরীর ছিল রক্তাক্ত। বাসার কাজের মহিলা গৃহকর্মী রাশিদা বেগম (৫০) বলেন, সন্ধ্যায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে কাজের জন্য ঢোকেন। এ সময় শামসুন্নাহার দরজা খুলে দেন। ঘটনার সময় তিনি রান্না ঘরে ছিলেন। কেউ একজন এসে বাইরে থেকে রান্না ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর তিনি ‘ম্যাডাম’ শামসুন্নাহারের বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পান। কাজের মেয়ে বলেন, বাসার দারোয়ান এসে রান্না ঘরের দরজা খুলে দিলে সে সেখান থেকে বের হন। বাসার দারোয়ান জানান, সিঁড়ি দিয়ে এক ব্যক্তি নিচে নামার সময় তাঁকে বলেছেন, গিয়ে দেখেন ৫ তলায় কোনো ঝামেলা হচ্ছে। তিনি ৫ তলায় গিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের সিড়ি ও ভেতরে দু জনের লাশ পড়ে আছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনা সম্পর্কে জানতে বাসার দারোয়ান ও কাজের মেয়েকে থানায় নেয়া হয়েছে। রমনা থানার ওসি কাজী মাঈনুল বলেন, ওই বাসায় মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ছয়তলা ফ্ল্যাটটির ৫মতলায় গৃহবধূ শামসুন্নাহারের জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে। আর ১৯ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ পড়ে আছে ফ্ল্যাটের ৪তলার সিঁড়িতে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, সন্ধ্যার পর ওই বাসার দারোয়ান নোমান বাইরে এসে চিৎকার করলে হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারী পড়েছিলেন। আর সিঁড়িতে পড়ে ছিলেন ১৯-২০ বছর বয়সী এক তরুণ। আমরা জেনেছি তারা সম্পর্কে মা-ছেলে। কয়েকজনকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার সময় বাড়ির মালিক আবদুল করিম বাসায় ছিলেন না। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আরও করা হবে। পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকান্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।