রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পদ্মা নদীতে চলছে ইলিশ মাছ ধরার মহা উৎসব। এসব ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। এমনকি প্রশাসনের আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছে পদ্মা নদীর ছোট-মাঝারি ইলিশ মাছ। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিবগঞ্জের সর্বশেষ পশ্চিম সীমান্ত মাসুদপুর বিওপি থেকে মহানন্দা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থল ওহেদপুর বিওপি পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ কিলোমিটার প্রস্থ পদ্মা নদীতে শত শত জালে ধরা হচ্ছে ইলিশ মাছ। ব্যস্ত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার জেলে। ধরা মাছ গুলোর ওজন ৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী বাড়ির মধ্যে সর্বনিম্ন ৫০-৬০ টাকা দরে ও উদ্ধে ১৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি হারে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি জেলে প্রতি রাতে প্রায় ২০-২৫ কেজি ইলিশ মাছ ধরছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে এমনকি ভোরেও এ সমস্ত মাছ গ্রামে ও পাড়ায় নিম্নে ৭০-৮০ ও উদ্ধে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ধরার নিরাপত্তার জন্য প্রতিটা জেলে প্রশাসনকে এক কেজি ওজনের দুটি করে ইলিশ মাছ মাসোহারা হিসাবে দিতে হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি রাতে প্রায় ২৫০ মণ ইলিশ মাছ শুধু প্রশাসনের লোকজনকেই দিচ্ছে জেলেরা। বৃহস্পতিবার রাতে মাছ বিক্রি করার সময় ১২-১৩ বছর বয়সের ছেলে রামনাথপুর গ্রামের সুজন, সোহেল, বাবু ও জাহাঙ্গীর জানায়, আমরা গরীবের ছেলে, নদীর ধারে বাড়ি। পেটের দায়ে এ সময়ে ইলিশ মাছ ধরি। এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরণ কুমার মÐল জানান, জনবল সীমিত হওয়া জোরালো অভিযান চালাতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে দিন ও রাতে অবাঁধে চলছে মা ইলিশ শিকার। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, সরকার থেকে কোন সাহায্য না পেয়ে পেটের তাগিতে মাছ ধরছেন তারা। তবে প্রশাসন পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানালেও থেমে নেই জেলেদের মা ইলিশ ধরার কাজ। পদ্মা নদী এলাকায় সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলা সত্বেও প্রকাশ্য দিবালোকে এবং রাতের অন্ধকারে জেলেরা মা ইলিশ ধরছে অবাঁধে। সন্ধ্যা নামলেই জেলেরা মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরতে ছুটে যান পদ্মা নদীর গভীরে। আবার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রমত্তা পদ্মায় দিনের আলোয় চলে অবাঁধে মা ইলিশ শিকার। প্রতিদিন জেলেরা এখানে শত শত কেজি মা ইলিশ শিকার করে বিক্রয় করছে নির্বিগ্নে। ফিলিপনগরের আবেদের ঘাট, গুলাবাড়ি ঘাট, বেরাগীরচর বাজার, বৈরাগীরচর ঘাট, ভাগজোত বাজার, চিলমারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মা ইলিশ মাছ বিক্রয় হয়ে থাকে। জেলেদের অভিযোগ এসময় কাজ না থাকায় এবং সরকারী সহায়তা না পাওয়ায় তারা পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। ফিলিপনগর এলকার ইলিশ শিকারী জেলে এনামুল জানান, সবাইকে ম্যানেজ করে তারা মাছ ধরে। আর এ মাছের ভাগ উপজেলার বড় বড় কর্তাদের দেওয়া লাগে। আর মাছ না ধরলে খাব কি বলে উল্টো প্রশান করেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় মাছ ক্রেতা ও পাইকার ব্যবসায়ীরা। কম দামে ইলিশ মাছ ক্রয় করে মজুদের পাশাপাশি অসময়ে নিজেদের ইলিশের চাহিদা পুরন করতে পারছেন সহজে। এজন্য তারা ভোর হতেই ছুটে যায় পদ্মা তীরবর্তী ফিলিপনগর আবেদের ঘাটসহ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে। ওইসব স্থানে ২’শ টাকা থেকে ৪’শ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রয় হয়ে থাকে। তবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন পদ্মা নদীতে ইলিশ রক্ষায় টহল বৃদ্ধির করার পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।